ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভয় কখন কি হয়

আল-আমিন, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
🕐 ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আমলাভাঙা খালের একপাড়ে দক্ষিণ কাজির হাওলা, অন্যপাড়ে কাছিয়াবুনিয়া গ্রাম। দুই গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সাঁকো। তাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। কখন কি হয়- এমন ভয় নিয়েই স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সাঁকো দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়।

স্থানীয়রা জানায়, গ্রামবাসীর অর্থায়নে ২০১৪ সালে দক্ষিণ কাজির হাওলা ও কাছিয়াবুনিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আমলাভাঙা খালের ওপর এ সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। স্বেচ্ছাশ্রমে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সাঁকোটি নির্মাণে তখন প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এরপর একাধিবার মেরামত করা হলেও বর্তমানে সাঁকোটির বেহাল অবস্থা।

সরেজমিন দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। সাঁকো পেরিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করে তারা। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।

হামিদিয়া রশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমলাভাঙা খালের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে আমার মাদ্রাসায় প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী আসা যাওয়া করে। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা খুব জরুরি।

দক্ষিণ কাজির হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সাঁকোটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী পানিতে পড়ে যায়। ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমত স্কুলে আসতে পারে না।

উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমলাভাঙা খালের ওপর নির্মিত সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ালিদ তালুকদার বলেন, রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের আমলাভাঙা খালের ওপর যে সাঁকোটি রয়েছে তার এক পারে রয়েছে দক্ষিণ কাজির হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অপর পারে রয়েছে হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা। প্রতিদিন হাজার হাজার ছেলে মেয়েসহ গ্রামবাসী পারাপার হয়। এটা অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি জায়গা।

অচিরেই যাতে এখানে একটি সেতু নির্মাণ হয় এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। শিগগিরই আমলাভাঙা খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এতে এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

 
Electronic Paper