ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফজর নামাজে অলসতা কীভাবে দূর করব?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯

প্রশ্নটি করেছেন নাজনীন সুলতানা চৌধুরী, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম থেকে

নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোনো ব্যক্তির ইমান আনার সঙ্গে সঙ্গেই তার ওপর যে ইবাদত প্রথমে ফরজ হয়, তা হলো নামাজ। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মাধ্যমে একজন মুসলমান তার বিশ্বাসের সাক্ষ্য প্রদান করে।

ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব ও এশা; এই পাঁচ ওয়াক্তের নামাজের মাধ্যমে একজন মুসলমান দিনে পাঁচবার নিজের বিশ্বাসের স্বীকারোক্তি ও তার ওপর আল্লাহর প্রদত্ত দায়িত্বকে স্মরণ করে নেয়। যোহর থেকে এশা পর্যন্ত মোট চার ওয়াক্তের নামাজ যথাসময়ে আদায় করতে আমাদের তেমন সমস্যা হয় না। অনেকটা সহজেই আমরা তা আদায় করে নিতে পারি। কিন্তু ফজরের নামাজ যথাসময়ে আদায় করতে আমাদের অনেককেই বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। যথাসময়ে ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারণে ফজর কাজা হয়ে যায়।

ভোরে সুবহে সাদিকের মুহূর্ত থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় ফজরের নামাজ আদায়ের নির্ধারিত ওয়াক্ত। কিন্তু নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যে ঘুম থেকে উঠতে অনেকেরই কষ্ট হয়। প্রধানত আমাদের অলসতার কারণেই যথাসময়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারি না। অন্যান্য জরুরি কাজের মতো যদি আমরা প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায়কে গুরুত্ব দিতে পারি, তবে যথাসময়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে কোনো ত্রুটি হতো না।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, লোকে যদি জানতো যে এশার নামাজ ও ফজরের নামাজের কী পুরস্কার রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা নামাজ আদায় করতে আসত। (মুসলিম, হাদিস-১০৮৮)।

হজরত আবু যুহাইর উমারাহ রুওয়াইবা (রা.) থেকে বর্ণিত। হাদিসে এসেছে, রসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের আগের নামাজ (ফজর) ও সূর্যাস্তের আগের নামাজ (আসর) আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। (মুসলিম, হাদিস-১০৪৯)।

সুতরাং, এত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদান থাকা সত্ত্বে ফজরের নামাজ আদায়ে আমাদের কখনই অবহেলা করা উচিত নয়।

 
Electronic Paper