ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাক্ষাৎহীন সাক্ষাৎকার

মুহা. তাজুল ইসলাম
🕐 ৬:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নানা আলোচনা সমালোচনায় মাতিয়ে রেখেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাই নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে খিচুড়ি মার্কা সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মুহা. তাজুল ইসলাম

বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারটির মধ্যেও আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য...
আপনি জানেন, আমরা মাছ, মাংস, সবজি, চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদেশিনির্ভর আর নই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিদেশ থেকে কোনো র‌্যাংকিং নেব না। শিগগির নিজেরাই র‌্যাংকিং বানাব, যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেরার তালিকায় থাকবে; অক্সফোর্ড-ক্যামব্রিজ থাকবে তলানির দিকে!

বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কী মানের গবেষণা হচ্ছে?
গবেষণা তো সব বিশ্ববিদ্যালয়ই করে। আমরা ব্যতিক্রম। গবেষণার সুযোগ কমিয়ে চা, সিঙ্গারা, সমুচা, চপের নির্মাণশৈলী নিয়ে গবেষণা করছি; পাশাপাশি ভক্ষণের সুযোগও করে দিয়েছি!

ছাত্রদের আবাসস্থলের করুণ অবস্থা। সেখানে নাকি অছাত্রদের জায়গা হলেও ছাত্রদের ঠাঁই নেই?
এটাও এক রকমের শিক্ষা। ছাত্ররা যাতে শিক্ষাজীবনে কষ্ট করে সারাজীবনে সেটা প্রয়োগ করতে পারে সেভাবেই প্রস্তুত করা হচ্ছে তাদের।
প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয় করে কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই অস্বাভাবিক মূল্যে আসবাবপত্র ক্রয়ের পেছনে কী যুক্তি! একটা চেয়ারের মূল্যই কীভাবে অর্ধ লক্ষ টাকা হয়?

জ্ঞানী মানুষের সবসময় দামি চেয়ারেই বসা উচিত। এতে তার মাথা দিয়ে সবসময় দামি চিন্তাধারা বের হবে। যার দ্বারা দেশ-জাতি উপকৃত হবে!

ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে কেন?
ভালো কাজে সমালোচনা থাকবেই। সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রকেও ভর্তির সুযোগ দিয়েছি। কাউকে কাউকে তো চেহারা দেখেই ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছি!

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কী?
কথা বললেই বহিষ্কার করা। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করার অভ্যাস সৃষ্টি হবে। কর্মজীবনে এটা কাজে লাগবে।

আপনি নাকি ক্যাম্পাসে থাকেন না?
উপস্থিত না থেকেই যদি দায়িত্ব পালন করতে পারি, মাস শেষে বেতন পাই, তাহলে ক্যাম্পাসে থাকব কোন দুঃখে!

আপনি নাকি অন্য মাতব্বরদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে ছাত্রদের জীবন সংকটজনক করে তুলছেন?
অন্য কারও মাতব্বরি আমার পছন্দ নয়। সাত কথার উত্তরে একটি কথাও বলতে রাজি নই! এ সুযোগে ছাত্ররাও প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা নিক, আন্দোলন শিখুক!

ছোট ভাইদের সালামির টাকা দিয়েছেন। তবুও সমালোচনা কেন?
কিছু লোক না বুঝেই বরাবর করছে। কাগজে ছবি ছাপছে। আগেকার দিনের ছবিগুলো ছাপলেই পারে! কথা হচ্ছে, বড়রা যদি ছোটদের স্নেহ না করে, ব্যবসা-বাণিজ্য না শেখায় তবে দেশ এগোবে কীভাবে!

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ লাগবে না। বড় নেতাকে অভিনন্দন জানিয়ে আপনাদের কাগজে বড় বিজ্ঞাপন দিতে চাই। কত কম টাকায় ছাপতে পারবেন!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper