ক্যাপম্পাস টু ক্যাম্পাস
দেখব এবার জগতটাকে
তানভীর সিদ্দিক টিপু
🕐 ১২:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
সুনির্মল বসু ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় পুরো বিশ্বকে পাঠশালা বিবেচনা করে নিজেকে তার ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। যেখান থেকে সবসময়ই তিনি নতুন কিছু শিক্ষা লাভ করে থাকেন। এই ছাত্রত্ব অমর, শেখার পরিধিও অসীম। কিন্তু কিতাবি পড়ালেখা গণ্ডিবদ্ধ, যার শুরু হয় বিদ্যালয় থেকে, মহাবিদ্যালয় হয়ে ইতি টানে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি লাতিন ইউনিভার্সিতাস (universitas) শব্দের বঙ্গানুবাদ। ইউনিভার্সিতাস শব্দের মূল অর্থ একত্রকরণ, সংঘ বা সমিতি। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে একত্রীকরণের মাধ্যমে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে মিশে নতুন কিছু শেখার জন্য উৎসাহিত করবে। এটা হবে সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশে যখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজের ক্যাম্পাসের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, ঠিক সেই সময় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ‘সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন’ বিভাগের শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু শেখার ধারণাকে কেন্দ্র গড়ে তুলেছে ‘ক্যাম্পাস টু ক্যাম্পাস’। সারাদেশের যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়টি পাঠ্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এই সংগঠনের সদস্য শিক্ষার্থীরা সেসব ঘুরে দেখতে চান। শুধু তাই নয়, একে একে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সঙ্গে নিজেদের পরিচিতি ঘটাতে চান।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ছাইফুল ইসলাম মাছুম এবং ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) ইয়ানুর হোসেন এই অভিনব ধারণার মূল উদ্যোক্তা। দুজনই সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। স্বপ্ন দেখেন একদিন বড় মাপের সাংবাদিক হবেন। সংগঠনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ক্যাম্পাস টু ক্যাম্পাস’ হাজির হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ধারণাটি নতুন হওয়ায় খুব বেশি মানুষ সাড়া না দিলেও মাছুম এবং ইয়ানুরের সঙ্গে যুক্ত হয় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের তিন শিক্ষার্থী- আমিনুর রহমান হৃদয়, হাসান ওয়ালী ও মেসবাহ হাসান।