ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জেলখানায় লেখা বিশ্বকাঁপানো বই

ইচ্ছেডানা ডেস্ক
🕐 ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯

পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত বই আছে যেগুলো লেখা হয়েছিল জেলে বসে! অথচ দেশ-কালের গণ্ডি পেরিয়ে সেসব বই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। আজ তোমাদের তেমন কিছু বই ও তার লেখকের গল্প বলব।

ইন্দিরা গান্ধীর নাম তো অবশ্যই শুনেছো। তখন তিনি তোমাদের বয়সী। বাবা জওহরলাল নেহরু জেলে থাকলেও কন্যার পড়শোনা নিয়ে উদ্বেগের অন্ত ছিল না। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, চিঠি লিখেই মেয়েকে পৃথিবীর ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। কন্যাকে একের পর এক চিঠি লিখতে লাগলেন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য, সেই চিঠিই একসময় একটি বিশালাকার বইয়ে পরিণত হলো। নাম দেওয়া হল, ‘গ্লিমসেস অব ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি’। বাংলায় অনুবাদ হলো ‘মেয়ের কাছে বাবার চিঠি’ নামে। এক পাঠক একদিন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- ‘ইদানীং লিখছেন না কেন?’ নেহরু উত্তর দিলেন, ‘ইদানীং তো আর জেলবাস হচ্ছে না তেমন’।

নেলসন ম্যান্ডেলা। বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের অবিসংবাদিত নেতা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদে কাটিয়েছেন কারাগারে, মোট কারাবাস করেছেন ২৭ বছর। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য শান্তিতে নোবেল পান ১৯৯৩ সালে। তার আত্মজীবনীর নাম ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ যা কি-না জেলে বসে লেখা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তার মেয়ে শেখ হাসিনা খুঁজে পান। খাতাগুলো ছিল খুব পুরনো, পাতাগুলো জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়ই অস্পষ্ট।

সেই খাতা শেখ মুজিব ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সম্পাদনায় এ আত্মজীবনীমূলক লেখাকে গ্রন্থে রূপান্তরিত করা হয়, এই বইটিই হলো- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বন্দি হন। জেলে বসে লিখেন ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ নামে চমকপ্রদ এক প্রবন্ধ, এ বইটিই হলো ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’।

জেলখানায় লেখা আরও কিছু বিখ্যাত বই হলো- নাজিম হিকমতের ‘জেলখানার চিঠি’, অ্যান্তোনিও গ্রামসির ‘প্রিজন নোটস’, থমাস পাইনের ‘দ্য এজ অব রিজন’, হুগো গ্রোশিয়াসের ‘অন দ্য ল অব ওয়ার অ্যান্ড পিস’, বার্ট্রান্ড রাসেলের ‘ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথমেটিক্যাল ফিলোসফি’, অ্যাডলফ হিটলারের আত্মজীবনী ‘মেইন ক্যাম্ফ’, ডানিয়েল ডিফোর ‘হিম টু পিলোনি’, মার্কো পোলোর ‘চীন ভ্রমণের কথা’ এবং ও হেনরির লেখা বহু বিখ্যাত ছোটগল্প।

ফ্রানকোইস মারিয়া অ্যারোয়েৎ ওরফে ভলতেয়ারও ১৭৫৭ সালের মে মাসে ফ্রান্সের কুখ্যাত বাস্তিল কারাগারে বন্দি থাকার সময় তার বিখ্যাত মহাকাব্য ‘হেনরিয়াদ’ লেখা শুরু করেন।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper