বিদেশি শিক্ষার্থী বাড়ছে সিলেটের মেডিকেলে
সিলেট ব্যুরো
🕐 ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
বিদেশি শিক্ষার্থী বাড়ছে সিলেটের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ফিলিস্তিন ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা নিতে প্রতি বছর সিলেটের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অনেক বিদেশি শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশে ফিরে গেছেন। অনেকে ইন্টার্নশিপ করছেন। কেউ কেউ আবার ইন্টার্নশিপ শেষে এখানেই চাকরি নিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন।
জানা যায়, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, কম খরচ, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কম হওয়ায় সিলেটে ভর্তি হচ্ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। পড়াশোনার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করায় এখানকার সংস্কৃতিতেও মিশে গেছেন তারা। পোশাক-পরিচ্ছদ, কথাবার্তা এমনকি খাবারের সঙ্গেও তারা নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন।
পাঁচটি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তথ্যানুসারে, বর্তমানে সিলেটে পৌনে ৮০০ বিদেশি শিক্ষার্থী আছেন। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৫৪ জন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে ২৭৩ জন, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ১৫৯ জন, পার্কভিউ মেডিকেল কলেজে ৬০ জন ও নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজে ২২৪ জন।
সিলেটে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারত ও নেপালের। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা, মালেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফিলিস্তনসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে সিলেটের পাঁচটি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি হন ১৩৪ জন। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন ১৩৯ জন। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১৭১ জন। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ৫৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে নেপালের ৭ জন, ভুটানের ১২ জন, ভারতের ৩ জন, ফিলিস্তিনের ৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪ জন, যুক্তরাজ্যের ৩ জন, মালেশিয়ার ৯ জন ও পাকিস্তানের ৪ জন। রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে ২৭৩ জনের মধ্যে নেপালের ১৮৩ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ১ জন, ভারতের ৮৯ জন।
পার্কভিউ মেডিকেল কলেজে ৬০ বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে নেপালের ৫১ জন ও ভারতের ৯ জন। নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত বিদেশিদের মধ্যে নেপালের ২১৮ জন ও ভারতের ৬ জন। আর উইমেন্স মেডিকেল কলেজে আছেন ভারতের ১০১ জন ও নেপালের ৫৮ জন।
এ ছাড়াও এসব মেডিকেল কলেজে পড়া শেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বেশ কিছু বিদেশি।