বেপরোয়া ইউপি চেয়ারম্যান
টাকা ছাড়া কাজই করেন না, উন্নয়ন প্রকল্পে হরিলুট
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রমাণিত হয়েছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)’র তদন্তে। তবে ২০১৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিগত ৪ বছর তিনি নানা অপকর্মের কারণে ছিলেন সমলোচিত। ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান হওয়ায় অনিয়ম দুর্নীতির ক্ষেত্রে তিনি অনেকটা লাগামছাড়া। সালিশ বৈঠক থেকে শুরু করে সব কাজেই তাকে দিতে হয় উৎকুচ। টাকা ছাড়া তিনি কোনো কাজই করেন না। উন্নয়ন প্রকল্প গুলোর বারদ্দতেও করেন হরিলুট।
পিবিআর অনুসন্ধান প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পুটিছড়া পানপুঞ্জির বাসিন্দা হামরেজ বারে নামক জনৈক খাসিয়ার কাছে পান চাষ ও বিক্রি করতে হলে চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর ১০ নভেম্বর ওই খাসিয়া ৮০ হাজার এবং ২৪ নভেম্বর আরও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করেন। ৩ লাখ টাকা চাঁদা প্রদানের পরও নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার হুমকি দেন চেয়ারম্যান। চাঁদা না দিলে খুন করারও হুমকি দেন। চাঁদা প্রদানের আনুমানিক একমাস পর ১৯ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান আতিক, ইউপি সদস্য হোসেন আলী ওপরে চৌকিদার হোসেনসহ তাদের সহযোগি লোকবল নিয়ে পুটিছড়া পুঞ্জিতে গিয়ে ফের চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু হামরেজ বারে খাসিয়া চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার সহযোগিরা পানজুম কেটে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন। এঘটনার পর হামরেজ বারে মৌলভীবাজার আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পিবিআই উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি:) সাইফুর রহমান সফি গত ১৫ জুলাই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে ঘটনা প্রমাণিত হয়।
কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক জানান, তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়। সামাজিক বনায়নে খাসিয়ারা বাঁধা দেয়। তিনি বনবিভাগের পক্ষে সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়নে কাজ করায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে পিবিআইকে ম্যানেজ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
পিবিআই উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুর রহমান সফি জানান, আসামিরা কত কিছুই বলে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য না মিথ্যা আপনারাও তদন্ত করে দেখতে পারেন।