তওবার পরও কেন বিষোদ্গার করা হয়?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
প্রশ্নটি করেছেন মোবাশ্বেরা মিতু, হাজারীবাগ, ঢাকা থেকে
সত্যাশ্রয়ী অনেক ভাই-বোন আছেন, যারা নিজেদের অতীতের ভুল, অন্যায় বা অপরাধ থেকে ফিরে এসেছেন। অশ্লীলতা-পাপাচার থেকে আল্লাহর কাছে তওবা করেছেন। বর্তমানে সত্যনিষ্ঠ পবিত্র জীবনযাপন করছেন। সাধ্যানুযায়ী দাওয়াতের কাজও করছেন।
তবু কিছু অসৎ বন্ধু, অবুঝ নিকটাত্মীয় বা দ্বীনের আলোহীন প্রতিবেশী থেকে যায়, যারা এ মানুষগুলোর অতীতের অন্ধকার টেনে বারবার তাদের সুন্দর বর্তমানকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তারা বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে, কানাঘুষা করে, কখনো বা এমনও বলে- ভালোর লেবাস জড়িয়েছে শুধু, ভণ্ডামি যতসব!
আপনার সঙ্গেও যদি এমনটা হয়ে থাকে, আশাহত হওয়ার কিছু নেই। ঘটনাগুলোকে ইতিবাচকভাবে নিন। আল্লাহ ভাঙা হৃদয়ের মানুষদের সঙ্গে থাকেন। ভেঙে যাওয়া হৃদয়টি তার মাঝে আল্লাহর আলো প্রবেশের পথ প্রশস্ত করে দেয়। আপনি বরং তখন ভাঙা মন নিয়ে আল্লাহর কাছে সমর্পিত হোন। চোখের পানিগুলো অজুর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দু’রাকাত নামাজে দাঁড়িয়ে যান। তার কাছে সিজদায় খুলে বলুন হৃদয়ের যত ব্যথা, যত আর্তি।
আপনি সঠিক পথেই আছেন। মন খারাপ করবেন না। পিছু হটারও কারণ নেই। আপনি বরং সাধ্যানুযায়ী আরও বেশি নেক কাজ করতে থাকুন, দাওয়াতের কাজে আরও মনোনিবেশ করুন। আপনাকে আরও কিছুদিন লড়াই করে ধাপটা পার হয়ে যেতে হবে। আল্লাহ সহায় হবেন ইনশাআল্লাহ। অন্যরা খারাপ বলতে বলতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ছেড়ে দেবে!
ভালো পথে এলে বাধা আসবেই। দমে না গিয়ে অটল থাকা নবী রাসুলদের সুন্নত। আমাদের প্রতিপালক বলেন, অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হলো সেসব লোক, যাদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমনকি যখন তাদের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে- আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সুরা নিসা, আয়াত-১৭-১৮)।
তিনি আমাদের মর্যাদা ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আরও ইরশাদ করেন, তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত-১১০)।