ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কল্পবিজ্ঞান

২০৫০

অর্ক রায়
🕐 ১২:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯

১৪ বিলিয়ন বছর আগে বিগব্যাং কিংবা মহাবিস্ফোরণের কারণে মুহূর্তে বদলে গেছে সবকিছু। তৈরি হয়েছে গ্রহ, নক্ষত্র, মিল্কিওয়ে, নীহারিকা ইত্যাদি। চারদিকের অন্ধকার জগতে ফুটেছে আলো। এই মহাবিশে^ রয়েছে ১০ হাজার কোটি সূর্য। সব গোলমাল হলেও পৃথিবীতে নবীন জীবনের সূচনা হয়েছিল। তবে ব্রহ্মা-ের আরও ১০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সির মধ্যে মানুষের সঙ্গে কারও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি এখনও। নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না সেখানে মানুষের মতো অন্য কোনো প্রাণীর স্পন্দন আছে নাকি সবই কল্পবিজ্ঞান। যদি তাই হয়, পৃথিবীর মানুষ নেতৃত্ব দেবে পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের। স্যারের অপূর্ব এই কথাগুলো মন দিয়ে শোনে নিনা। বিজ্ঞানের দার্শনিক সব প্রশ্নের উত্তর এক এক করে দিয়ে যাচ্ছেন স্যার।

স্যারের কথাগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য নতুন দুজন বন্ধুর সঙ্গে একত্রিত হলো নিনা। বন্ধু আদিরা ভাবতে লাগল ধ্বংসস্তূপের কথা। ভাবতে লাগল এখনকার পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা। গভীর অরণ্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আগুন লেগে যাচ্ছে আমাজনের মতো বনে। তাহলে কী আয়ুষ্কাল কমে এসেছে পৃথিবীর? নিনা ভাবল, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের একটা ইন্টেলিজেন্স প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত।

বন্ধুরা মিলে একটা দল করে ফেলল। দলের সবাই কঠিন সব সিদ্ধান্ত নিতে সম্মিলিত হলো। হিসাব-নিকাশ করে দেখা গেল, ২০৫০ সালের দিকে পৃথিবীর সমস্ত কিছু ওলট-পাটল হয়ে যাবে। আর সেটা হবে মানুষের বেআইনি সব ক্রিয়াকলাপের জন্য। স্যারের কথা মনে পড়ল, ক্লাসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা বলে আফসোস করতে করতে এক পর্যায়ে কান্না করে দিয়েছিলেন তিনি। চাঁদে যাওয়ার কৌতূহল থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দল ভারি হতে থাকল। তারা খুব যত্ন করে পৃথিবী বাঁচাবে আর নিজেরাও বাঁচবে। ওরা ধীরে ধীরে আবিষ্কারক দলে পরিণত হলো। পৃথিবী দিন দিন দূষিত পদার্থে ভরে উঠেছে, এই সমস্যা সমাধানের কৌশল দলটি আয়ত্ত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা নিজেদের ২০৫০ সালে কল্পনা করতে লাগল। পৃথিবীর মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০ কোটিতে। আত্মহত্যা করেছেন অনেকেই। ভয়ঙ্কর সব ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে সবকিছু। যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট সবকিছু ভেঙে যেন গিরিখাতে পরিণত হয়েছে। মানুষ কারও সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারছে না।

দীর্ঘ গবেষণার পর ছোট দলটি সম্ভাবনার মুখ দেখতে পেল। তারা ট্র্যাকিং করে পৃথিবীর একটা অক্ষত জায়গার সন্ধান পেল। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এত মানুষ সেখানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবে রোবটবিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে কিছুসংখ্যক লোক সৌভাগ্যক্রমে সেখানে আসতে সক্ষম হয়েছিল। তত দিনে সূর্যের আলো নিভে যায় পৃথিবীর বুক থেকে। উল্কাপাত হানা দেয় একের পর এক। পৃথিবীর বুকে মানুষের পদচারণা আরও কমতে থাকে। চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসে। া

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper