ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এক মাসেও সংস্কার হয়নি ভাঙা সড়ক

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মনু নদীর তীরবর্তী হাজীপুর ইউনিয়নের নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙনে স্থানীয় কাউকাপন বাজার এলাকার কুনিমোড়া-তারাপাশা সড়ক ও কটারকোনা বাজার-হাজীপুর ইউপি কার্যালয়ের হাসিমপুর এলাকার পাকা সড়ক নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক প্রধান সড়কে দেড়মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প সড়ক চালু না হওয়ায় এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।

জানা যায়, গত ৭ জুলাই থেকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে মনু নদীর পানির স্রোতে কাউকাপন বাজার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এরপর ১ আগস্ট বড়ধরনের ভাঙনে কুনিমোড়া-তারাপাশা সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়াও কটারকোনা বাজার-হাজীপুর ইউপি কার্যালয়ের হাসিমপুর এলাকার পাকা সড়ক তিন দফা ভাঙনের ফলে সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে ইউনিয়ন পরিষদ ড্রাইবেশন দিয়ে বিকল্পভাবে যাতায়াত করছে। কিন্তু সড়কে যানচলাচল বন্ধের প্রায় দেড়মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত এসড়ক চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। অথচ সাবেক সাংসদ সদস্য এমএম শাহীন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এ দুটি সড়ক চালুর দাবি জানিয়ে গত ৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের বরাবরে একটি লিখিত চিঠি প্রদান করেন। যা এর অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রধান প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশের একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রধান প্রকৌশলী বা কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী এখন পর্যন্ত ভাঙন কবলিত সড়কগুলো চালুর ব্যবস্থা করেনি।

হাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রীর নির্দেশনা দেওয়ার প্রায় একমাস হয়ে গেলেও প্রশাসন অথবা প্রকৌশল বিভাগ সড়ক যোগাযোগ চালু করা না করায় জনগণের প্রতি যদি প্রশাসনের কোন দায়বদ্ধতা থাকতো তাহলে মন্ত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হতো। এবং গত ঈদ-উল আযহা হাজার হাজার মানুষ এত ভোগান্তির শিকার হতো না।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 
Electronic Paper