কমেনি ডেঙ্গুর ঝুঁকি
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৮:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত কয়েক দিনে যশোর, বরিশাল, মেহেরপুর ও সিরাজগঞ্জে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪০ জন। এর মধ্যে সাতক্ষীরার তালা ও যশোরের মনিরামপুরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
তালা সদরের আটারই গ্রামে রহিমা বেগম (৪৩) ডায়বেটিকস রোগে ভুগছিলেন। এর মধ্যে হঠাৎ তার জ্বর হয়। পরে তার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ৪ সেপ্টেম্বর তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। চিকিসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যশোরের মনিরামপুরে জাহিদা খাতুন (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে ২৫০ শয্যা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। জাহিদা মনিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামের কাদের মোল্লার স্ত্রী।
গত ৯ সেপ্টেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে ৪৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে ৫৩ জন। আর চিকিৎসাধীন রয়েছে ২২৪ জন।
অন্যদিকে, বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। গতকাল বুধবার ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৭ জন। এ সংখ্যা গত মঙ্গলবার ছিল ৬৬ জন। আর সোমবার ছিল ৬৮ জন।
তবে সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমলেও মেহেরপুর জেলায় এখনও বাড়ছে। বিশেষ করে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। প্রতিদিনিই গাংনী হাসপাতালে নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত মঙ্গলবার আটজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করতে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৩২ জন। এর মধ্যে গাংনী উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ১৬৩ জন।
সিরাজগঞ্জেও কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত দুদিনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৬০ জনে। এর মধ্যে গত ১৮ আগস্ট মেহেদী হাসান নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।