কলাচাষে লাখোপতি রাজা মিয়া
তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্যাপুর
🕐 ৪:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
কৃষক আবদুর রাজ্জাক রাজা মিয়া। বয়স তার (৬৫)। কৃষক পরিবারেই তার জন্ম। বিভিন্ন ফসললের পাশপাশি কলা চাষ করাই তার নেশা ও পেশা। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে চাষ করে আসছেন কলা। দীর্ঘদিন ধরে কলা চাষ করেই লাখপতি বুনে গেছেন রাজা মিয়া।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের রাজা মিয়া। প্রতি বছরের মতো এবারেও ৫০ শতক জমিতে জমিতে চাষ করেছেন কলা। এ ফসল ক্ষেতে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সম্প্রতি কলা গাছগুলো যেন স্বপ্ন পূরণে হাতছানি দিয়ে ডাক দিচ্ছে তাকে।
জানা যায়, কৃষক আবদুর রাজ্জাক রাজা মিয়ার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি থাকলেও, এক সময়ে নুন আনতে পান্তা ফুড়াতো তার। ধান-পাটসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে তেমন আয় করা সম্ভব হত না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করতেন তিনি। দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে প্রায় ২০ বছর আগে এক কলা চাষির পরামর্শ নিয়ে শুরু করেন কলার আবাদ।
এই কলা চাষ করেই প্রথমে দেখতে পারেন লাভের মুখ। ফলে কলা আবাদে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। সেই থেকে চাষাবাদ করে আসছেন কলা। ফলশ্রুতিতে রাজা মিয়া দরিদ্রকে বিদায় জানাতে সক্ষম হয়েছেন। কলা বিক্রির আয় দিয়ে এক ছেলে ও চার মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন তিনি। ছেলেটি এখন বিজিবিতে চাকরি করছেন। মেয়েদের ভাল ঘরে পাত্রস্থ করাতে সক্ষম হয়েছেন রাজা মিয়া। আরও করেছেন পাকা বাড়ি। তিনি এখন ফিরে পেয়েছেন সোনালী দিন। মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
রাজা মিয়া বলেন, এবারেও ৫০ শতক জমিতে জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। জমিতে ৫০০ গাছে কলা ধরেছে। যার খরচ হয়েছে ২২-২৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে কলা বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমান দাম অনুযায়ী প্রায় লক্ষাধিক টাকার কলা বিক্রি করা সম্ভব।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বলেন, কৃষক রাজা মিয়া কলাচাষ করে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।