১৯০৬ সালে মহাত্মা গান্ধী স্বদেশী আন্দোলনের ডাক দেন। এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের তৈরি কাপড় বর্জন করা। এ সময়ে তথকালীন পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) তাঁতশিল্প প্রসার লাভ করে। ১৯২৩-২৪ সালে তাঁতের কাপড়ে নকশা প্রবর্তন করা হয়। ১৯৩১-৩২ সালে শাড়ি তৈরির জন্য জাকুয়ার্ড তাঁত প্রবর্তন করা হয়। ১৯৯২ সালে টাঙ্গাইল জেলায় ১ লাখেরও অধিক তাঁত ছিল এবং দেড় লাখ তাঁতি টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতি, নাগরপুর ও বসিল উপজেলায় বসবাস করতেন।
২০০৮ সালে এক লাখ ছোট বড় কারখানায় ৩৭,২২২ তাঁত ছিল এবং ৭০ হাজার তাঁতি টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিসিক সেন্টারের অধীনে কাজ করতেন। ২০১৩ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, টাঙ্গাইল জেলায় ৬০ হাজার তাঁত ছিল।
এর মধ্যে ৮৩০৫ প্রিন্ট তাঁত, ৫১১৪১ চিত্তরঞ্জন তাঁত এবং ৮৯২ পাওয়ার তাঁত। পাটাইল ইউনিয়নের বসাক সম্প্রদায় সব থেকে পুরনো যারা এখনো আদি ও ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ি তৈরি করে। বর্তমানে সব মিলিয়ে তিন লাখ পঁচিশ হাজার তাঁতি, মালিক ও ব্যবসায়ী-ক্রেতা এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত।