ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সিলেটে গণপরিবহনে নৈরাজ্য

সিলেট ব্যুরো
🕐 ৯:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯

সিলেটে দাবি আদায়ের নামে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নৈরাজ্য চলছেই। তাদের দাবির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাত্রীদের দাবিকে উপেক্ষা করে কথায় কথায় ধর্মঘট আহ্বান করে অরাজকতাসৃষ্টি করছেন তারা। এমনকি প্রশাসনও নমনীয় তাদের বেপরোয়া আচরণের কাছে। দাবি আদায়ের নামে নৈরাজ্য না ঠেকিয়ে সমঝোতা করে খুশি করা হচ্ছে মালিক-শ্রমিকদের।

এদিকে, সর্বশেষ পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহারে সিলেট-সুনামগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস সীমিত করার সিদ্ধান্তে বিভাগীয় প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন অনেকে।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ফের বৈঠক করার কথা রয়েছে সিলেট বিভাগীয় প্রশাসনের।

জানা যায়, গত ৩ জুন সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসির বাস সার্ভিসেস চালু হয়। এর প্রতিবাদে ওইদিনই সুনামগঞ্জ-সিলেট পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়। এরপর আবার ২৪ জুন সিলেট বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই ধর্মঘটের ঘোষণার পরই এটিকে ‘অযৌক্তিক’ দাবি করে সুনামগঞ্জে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে সিলেটেও। বিআরটিসির বাস চলাচলের দাবিতে অনঢ় থাকেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শেষ পর্যন্ত ২১ জুন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবহন মালিক-শ্রমিক বৈঠক হয়।

বৈঠকে সরকারি ব্যবস্থায় সিলেট-সুনামগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস চলাচলসহ কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ায় পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত ২৮ আগস্ট সিলেট-সুনামগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস সার্ভিস বন্ধসহ ৫ দাবিতে গত সোমবার ফের অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিকরা।

বৈঠকে শ্রমিকদের দাবি, অনুযায়ী সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বিআরটিসি বাস সীমিত করার আশ্বাস দেন বিভাগীয় কমিশনার। সিলেটের মাঠ প্রশাসনের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সিলেট-সুনামগঞ্জ যাত্রীকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সদস্য, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ বলেন, আমাদের দাবি ছিল বিআরটিসি বাসও চলবে, অন্যান্য বাসও চলবে। এটা পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোনো দাবি না। কিন্তু প্রশাসন বিআরটিসি বাস সীমিত করার যে আশ্বাস দিয়েছেন তা-জনগণের দাবি পরিপন্থী।

এখানে জনগণের অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, জনগণ কিন্তু সাধারণ বাস চলাচল বন্ধ করার কথা বলেনি। সরকারিভাবে বিআরটিসি বাস চলবে। পাশাপাশি সাধারণ বাস চলবে।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে জনগণের দাবি প্রতিফলিত হয়নি। এটা পুনঃবিবেচনা করা হোক। তা না হলে জনগণ আন্দোলনে নামবে।

 
Electronic Paper