কোনো কিছু পড়ে অনেক দিন ধরেই আর উত্তেজিত বা ক্ষিপ্ত হই না অবশ্য। হয়তো বিরক্ত হই। ফেসবুকে এসে বহু বিচিত্র মতামতের মুখোমুখি হয়েও এ মানসিক অবস্থাটি নির্মিত হয়েছে। আর নাতিদীর্ঘ এ লেখা পড়ে মনে হয়েছে, কিছু শব্দ প্রয়োগ না করেও কথাগুলো তিনি সুন্দর করে বলতে পারতেন।

নিবন্ধটি ভারসাম্যপূর্ণও হয়নি এ জন্য যে, কোথাও লেখককে মনে হয়েছে প্রাজ্ঞ; কোথাও প্রগলভ। আর শাড়ি কেন হটে যাচ্ছে, সেটি দেখাতে গিয়ে এর একটি বড় কারণই তিনি বলেননি যে, কট্টরপন্থী ধর্মীয় মত গুরুত্ব লাভ করা- যেখানে আমাদের ঐতিহ্যগত পোশাকটি প্রতিস্থাপিত হচ্ছে সালোয়ার-কামিজ এবং তার সঙ্গে হিজাব দিয়ে। এটা বলতে ভুলে যাওয়া বা এড়িয়ে যাওয়াটা আলোচনায় আসা এ নিবন্ধের সীমাবদ্ধতা বলেই মনে হচ্ছে।

হাসান মামুন
সাংবাদিক