সংকট উত্তরণে কার পরামর্শ নেব?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
প্রশ্নটি করেছেন মুরসালিন রহমান, বানারীপাড়া, বরিশাল থেকে
পরিবারের সব ছোট বড় সিদ্ধান্তে, এমনকি যে কোনো সংকটে স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করুন, তার মতামত নিন। তাকে সম্মান প্রদর্শন করুন। এটা পৌরুষের পরিপন্থী নয়। বরং তা সফল পুরুষের উত্তম গুণ এবং একটি সুখময় দাম্পত্যের নেপথ্য কারণ। এর মাধ্যমে জীবনে আসা যে কোনো কঠিন সময়ের মোকাবেলা খুব সহজেই সম্ভব হয়।
মহানবী (সা.) উম্মতের নানা সমস্যা তার স্ত্রীদের জানাতেন। তারা রাসুলকে (সা.) পরামর্শ দিতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) কাফেরদের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে সাহাবাদের হাদির পশু জবাই করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা রাসুলের হিকমত বুঝতে না পেরে জবাই করতে বিলম্ব করেন, এতে রাসুলুল্লাহ (সা.) রাগান্বিত হয়ে উম্মে সালামাহর (রা.) কাছে গিয়ে ঘটনা জানান। তিনি এ সমস্যা সমাধানে উত্তম পরামর্শ দেন। হাদিস থেকে ঘটনাটি জেনে নিই।
(এ ঘটনাটি উল্লেখ করে) উমর (রা.) বলেছিলেন, আমি এর জন্য (ধৈর্যহীনতার কাফফারা) অনেক নেক আমল করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, সন্ধিপত্র লেখা শেষ হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, তোমরা ওঠো এবং জবাই করো ও মাথা কামিয়ে ফেলো। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর কসম! রাসুলুল্লাহ (সা.) তিনবার বলার পরও কেউ উঠলেন না। তাদের কাউকে উঠতে না দেখে রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মে সালামাহর (রা.) কাছে এসে লোকদের এ আচরণের কথা বলেন। উম্মে সালামাহ (রা.) বললেন, আপনি যদি তাই চান, তাহলে বাইরে যান ও তাদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে আপনার উট আপনি নাহর (জবেহ) করুন এবং ক্ষুরকার ডেকে মাথা মুণ্ডিয়ে নিন।
সে অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ (সা.) বেরিয়ে গেলেন এবং কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে নিজের পশু জবেহ করলেন এবং ক্ষুরকার ডেকে মাথা মু-িয়ে নিলেন। তা দেখে সাহাবারাও উঠে দাঁড়ালেন, নিজ নিজ পশু কোরবানি করলেন এবং একে অপরের মাথা মু-ন করে দিলেন। অবস্থা এমন হলো, ভিড়ের কারণে একে অপরের উপর পড়তে লাগলেন। (বুখারি, হাদিস-২৭৩১)।
হাদিসটি থেকে স্পষ্ট, নবী (সা.) বড় একটি সংকটে আর কারও কাছে না গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গেই গিয়ে পরামর্শ করেছেন। সরলভাবেই সমাধান হলো।