ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কঁচি-ঢেপা নদীতে ভাঙন

বীরগঞ্জ ও ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৯

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলারর ঢেপা নদীর স্লুইসগেটের সুরক্ষা প্রাচীরের শেষ মাথায় ২৫-৩০ ফুট সংস্কার না হওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এখনই সংস্কার না হলে ৮০টি বাড়ি ও একটি মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

বেলাল হোসেন, সফিকুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, শুকুর আলী, রশিদ মিঞা, হাফিজ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম এবং মো. ফিরোজ শাহ জানান, আমরা আগে বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলাম। পৌরসভা হওয়ার পর, এখন আমরা না পৌরসভার, না ইউনিয়নের। কেউ আমাদের দায়িত্ব নিতে চায় না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করলে মতিয়ার নামে একজন তত্ত্বাবধায়ককে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমার কিছু করার নেই। আপনারা দিনাজপুর যোগাযোগ করেন। দিনাজপুরে যোগাযোগ করলে সাইফুল ইসলাম নামে একজন এসও পরিচয় দিয়ে বলেন, এগুলো সরকারি কাজ, প্রস্তাব পাঠাতে হবে। প্রস্তাব পাস হয়ে আসবে তারপর টেন্ডার হবে। দুই-তিন মাসের আগে কাজ হবে না।

অন্যদিকে, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা এলকার তিনটি ঘর কঁচা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে হঠাৎ ভাঙন শুরু হলে ফসলি জমিসহ একটি বড় এলাকা নদীতে তলিয়ে যায়। ওইসব পরিবারের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পেলেও ঘর এবং মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। এছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও পাঁচটি বাড়ি। এসব বাড়িতে বিশাল ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মৎস্যজীবী মো. নাসির উদ্দীন জানান, গত বুধবার রাত থেকেই ভাঙন শুরু হয়। সকালে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম জানান, নদী ভাঙন রোধে তীরে ব্লক ফেলে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চললেও ভাঙনকবলিত এলাকাটি এ কাজের বাইরে রয়েছে। জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-২ আসনের সাংসদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, পানি উন্নয়নের বোর্ডের প্রকল্প পরিচালককে ভাঙনের বিষয়টি অবহিত করে এলাকাটি বেড়িবাঁধের আওতায় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

 
Electronic Paper