যেখানে জিতে যায় অনুভূতি
এগারজন ডেস্ক
🕐 ৫:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৯
দিনের আলোতে আকাশে সাদা-কালো মেঘ। দূর আকাশে চলে মেঘ-বৃষ্টির খেলা। চিরচেনা মাঠেও চলে রিমিঝিমি ছন্দে বৃষ্টির জয়গান। শ্রাবণের আকাশ সচারাচর যেমন থাকে।
দিন কয়েক বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে তৈরি হয়েছে কাদা। সেই কাদামাখা শরীরে পায়ে বল নিয়ে দৌড়াচ্ছে একঝাক শিক্ষার্থী। প্রতিপক্ষের গোলবারের নিকট বল যেতেই দর্শকের জয়োধ্বনি। সে যেন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বৃষ্টি জয়ের প্রতিধবনি।
এই বর্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রিয় মাঠের এই দৃশ্যকে নিয়মিত দৃশ্যই বলা যায়। মাঠে বসে খেলার হাট। ফুটবল খেলার হাট। সপ্তাহের পাচদিন বিকালে, আর ছুটির দুইদিন সকাল-বিকাল। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৯টি ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) সাড়ে ছয় হাজারের ওপর শিক্ষার্থী। এর মধ্যে আট-দশটি ডিসিপ্লিন মিলে প্রায় শ খানেক শিক্ষার্থীকে নিয়মিতই মাঠে দেখা যায়। একমাত্র মাঠে সীমানা দাড়ির গায়ে গা লাগিয়ে চলে মাঠের খেলা। মাঠকে ভাগ করে দেওয়া সীমানা দড়িও শিক্ষা দেয় একসাথে চলার। গায়ে গা, কাদে কাদ রেখে চলার।
ছোট ছোট গোল বার । পায়ের বলের লক্ষ্য সেই দিকেই। কাদামাখা শরীরে কিছুদূর বল নিয়ে দৌড়াতেই প্রতিপক্ষের বাধা। যতটা না বাধা প্রতিপক্ষের তার চেয়ে বেশী মাঠের। পানি জমে মাঠ কাদাময়। নিচু জায়গায় পানি জমানো। চিত্রটা এমন; বল যেখানে, জটলা সেখানে। অনেকসময় বল রেখে কাদার মধ্যে সতীর্থদের সাথে গড়াগড়ি। তারপরও গোলের খেলা ফুটবল। গোল দিতে মরিয়া প্রত্যেক দল। গোল বারের দিকে বল নিয়ে ছুটতেই দর্শকের হাত তালি। দর্শক আবার সহপাঠিরাই। কেউ নাম ধরে ডাকছেন, আবার কেউ গোল গোল বলে জয়ধ্বনি করছেন।
সেই ধবনি আর বৃষ্টির টাপুর-টুপুর শব্দ একাকার হয়ে অনুভূতির ধবনিতে পরিনত হয়েছে। যেমন সহপাঠীর আঘাতে ইস, ইস বা সাবাস, সাবাস বলে সমস্বরে চিৎকার। খুবির মাঠের এ দৃশ্যও চিরচেনা। বিশ্ববিদ্যালয়টির এগারজন পাঠক ফোরামের উপদেষ্টা ও ডিসিপ্লিনটির শিক্ষক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘খেলাধূলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বাড়ায়। একসাথে চলার অনুপ্রেরণা জোগায় আবার প্রতিপক্ষকে সম্মান করতেও শেখায়। তিনিও মনে করেন, ‘অনুভুতিই অবশেষে জিতে যায়।
সমন্বয়ক, এগারজন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228