ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চুক্তিতে যাত্রী তুলে খুন চালক

অ্যাপে পরিবহন সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৯

মোবাইল অ্যাপে পরিবহন সেবা পাওয়া গেলেও এবার ‘খ্যাপ’ বা চুক্তিতে চালানো এক মোটরসাইকেল চালককে খুন করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করতেই গলায় চাকু চালিয়ে খুন করা হয় তাকে। মোহাম্মদ মিলন নামে ওই চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই যাত্রী পরিবহন করতেন। আর এই জটিলতা থাকায় অ্যাপ বাদ দিয়ে চুক্তিতেই যাত্রী বহন করতেন তিনি। গত রোববার রাত আড়াইটার দিকে মালিবাগ ফ্লাইওভারের তৃতীয় লেনে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উড়ালসড়ক থেকে নিচে নামেন মিলন।

পরে মিলনের অবস্থা দেখে উপস্থিত লোকজন শান্তিনগর মোড়ে টহল পুলিশের কাছে জানায়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। গলার ক্ষতে সেলাই করে বন্ধের চেষ্টা করা হলেও রক্তক্ষরণে পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরে মিলনকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী মিলনকে খুন করে মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়েছে। দুই সন্তানের জনক মোহাম্মদ মিলন পরিবার নিয়ে মিরপুর-১ গুদারাঘাট এলাকায় থাকতেন।

শাহাজানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শেয়ার রাইডিং কোম্পানির চালক হলেও তার (মিলন) কোনো অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন ছিল না। ড্রাইভিং লাইসেন্সে সমস্যার কারণে চুক্তিভিত্তিক যাত্রী ধরে সব জায়গায় যেত মিলন। গত রাতেও সে চুক্তিভিত্তিক একশ টাকা ভাড়ায় যাচ্ছিল। আমরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। যেহেতু ফ্লাইওভারের উপরে ঘটনা, তাই সেখানে সিসিটিভি নেই। তবে ফ্লাইওভারের শুরু ও শেষের দিকের ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আসামি ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ এবং থানা পুলিশ মিলে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মোবাইল অ্যাপভিত্তিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল সেবা চালু হয় ঢাকায়। অ্যাপে নিবন্ধন করলে যাত্রী ও চালকের পরিচয় নিশ্চিত থাকে। ফলে এক ধরনের নিরাপত্তাবোধ নিয়ে চলা যায়। কিন্তু ইদানীং বিশেষ অ্যাপের মোটরসাইকেল চালকরা অ্যাপে না গিয়ে চুক্তিতে যাত্রী বহন করছেন। কারণ এতে কে উঠছেন, আর কে চালাচ্ছেন তার কোনো প্রমাণ থাকে না। চালক বেশধারী ছিনতাইকারী যেমন যাত্রীর ক্ষতি করতে পারেন, তেমনি যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীও ক্ষতি করতে পারেন চালকের। গত রোববার রাতের ঘটনাটিও এই কারণেই ঘটেছে।

 
Electronic Paper