ঈদ বন্ধে বাড়ি ফেরার আনন্দ
আফফান ইয়াসিন
🕐 ৫:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯
দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, মাস্তি সঙ্গে পড়াশোনা ও পরীক্ষার চিন্তায় এদিক-ওদিক দৌড়ঝাঁপের পর যখন বিশ^বিদ্যালয়ের ক্লাস কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা আসে। বাড়ির কথা মনে আসতেই পরিবারের চিরচেনা মুখগুলো দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে সবার হৃদয়টা। আবার সেটা যদি হয় ঈদকে কেন্দ্র করে আনন্দের পরিধি তো বাড়বেই। তবে, ঝুকিটা নিতে হয় বাড়ির পথে ভ্রমণের ক্ষণে। যখন এক এক করে জানতে পারি ট্রেন বা বাসের টিকিট শেষ।
অদ্ভুত হলেও সত্য বাড়ির মায়া যখন পীড়া দিতে শুরু করে সব জঞ্জাল এমনিতেই সহজ হয়ে যায়! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের নোটিস কানে আসতেই আমরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে দেই। আমাদের দুই বন্ধু সাংবাদিকতা বিভাগের ফারজানা আমিন সোনিয়া এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের নাফিসা তাবাসসুম অবশ্য একসঙ্গে যাওয়া উদ্যোক্তা হয়ে কাজ করেছিল। অবশেষে নির্দিষ্ট দিনে ক্যাম্পাস বা বাসা-বাড়ি থেকে যে যার মতো রওনা হয়ে ট্রেনে এসে ভ্রমণ এবং মিলমেলা দু’টোই উপভোগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইবনে আরমান ইবনের কাছে বন্ধে বাড়ি ফেরা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেছিল, ক্যাম্পাসে প্রতিদিনটাকেই আমার ঈদের দিনের মতো মনে হয়। তারপরও যখন বন্ধ আসে মা বাবার সাথে দেখা করার জন্য মনটা ব্যাকুল থাকে। এ জন্য শত কষ্ট করে ভ্রমণ করলেও বাড়ির আঙ্গিনায় পা রাখার সাঙ্গে সঙ্গেই তা শেষ হয়ে যায়। বাবা মা ও আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। তাই, ক্যাম্পাস বন্ধ হলেই ঘরের দিকে ছুটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অন্য এক শিক্ষার্থী রোকাইয়া তামান্না রিক্তা বাড়ি ফেরার বিষয়ে মন্তব্য করেছিল, আমি যে দিন বাড়িতে যাব সেদিন আম্মু খাবার রান্না করে বসে থাকে। আমি ফিরলে প্রথমে আমাকে খাইয়ে দিয়ে তারপর তিনি খাবার গ্রহণ করেন। আম্মুর এত ভালোবাসার জন্যই বাড়িতে গেলে ক্যাম্পাসে ফিরতে মন চায় না। কিন্তু পড়াশুনার দিকে তাকিয়ে ফিরলেও অপেক্ষায় থাকি কখন বাড়ি ফিরব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন একসঙ্গে হলে বাড়ি ফেরার আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এ যাত্রায় আরও ছিল রাহাত ভাই, নেহাল ফাহিম,সাইফুল ইসলাম, তামিম হাসান, সাইমুম রিয়াদ ও শাহরিয়ার শান্ত।