ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিবিসি বাংলাকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশের কাছে জমি চায়নি ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০১৯

কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশ এবং ভারতের গণমাধ্যমে খবর বের হয়, সীমান্তবর্তী এলাকায় ত্রিপুরা বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়েছে ভারত। তবে এমন তথ্য নাকচ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে নানা ধরনের পরস্পরবিরোধী খবরও বের হয়। বিবিসি বাংলা অনলাইনের প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারত আমাদের কাছে কোনো জমি চায়নি। যে খবরটি আপনারা জেনেছেন সেটা সম্পূর্ণ অসত্য। ভারত মূলত যেটা চেয়েছে, সেটা হচ্ছে ত্রিপুরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাইটের কমপ্লিট ফেইজ পূরণ করতে বাংলাদেশের অংশে কিছু লাইট বসাতে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান ওঠানামার নির্দেশনা দেওয়ার জন্য লাইটের একটি কমপ্লিট ফেইজের প্রয়োজন হয়। যেখানে কয়েক ফুট অন্তর অন্তর প্রায় ৫০টির মতো লাইট বসানো হয়। একে বলা হয় ক্যাট আই লাইট। লাইটের এই কমল্লিট প্যানেলের যে দৈর্ঘ্য সেটা বসানোর মতো জায়গা ভারতের অংশে না থাকায় তারা বাকি কিছু লাইট বাংলাদেশের অংশে বসানোর অনুরোধ করে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে।’

সম্প্রতি ভারত এ নিয়ে একটি অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত লাইট বসানোর বাইরে রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য জমি বা কোনো অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কিছু চায়নি। এসব লাইটের বেশির ভাগ ভারতেই অংশেই বসবে, এরমধ্যে কিছু লাইট আন্তর্জাতিক মানদ- মেনে বাংলাদেশের অংশে বসানো হতে পারে।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে ভারতের এই অনুরোধ যাচাই-বাছাই করে তাদের মতামতের জন্য বলা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের মতামতের ভিত্তিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারত থেকে কোনো প্রস্তাব এলেই এটা নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করা হয়, অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। একটি চক্র সব সময় একে তাদের সস্তা রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহারের চেষ্টা করে। কিন্তু সরকারের নীতি হলো, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা সমুন্নত রেখে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের এমন নীতির কারণেই বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও যাতায়াতে অনেক ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আর সব কিছুই সম্পন্ন হয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট কার্যপ্রণালির মাধ্যমে। এই লাইট বসানোর বিষয়টিও সেভাবেই করা হবে।’

 
Electronic Paper