ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাত পোহালেই খুশির ঈদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:০২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০১৯

আজ রোববার দিন গড়িয়ে রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। সর্বত্র খুশির আমেজ। কোরবানির পশু কেনাও শেষ। এখন শুধু অনাবিল আনন্দ উদযাপনের অপেক্ষা। মহান ত্যাগের এক মহৎ দৃষ্টান্ত মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসবের একটি পবিত্র ঈদুল আজহা।

হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় ঠিক আগের দিনে চাঁদ দেখা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই। ১০ দিন আগেই ঠিক হয়ে যায় ঈদের দিনক্ষণ। সে অনুসারে পশু কেনা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়াসহ ঈদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে থাকেন সবাই।

ঈদুল আজহা আমাদের দেশের মানুষের কাছে ‘কোরবানির ঈদ’ নামেই পরিচিত। কোরবানির পশু কেনা, তার যত্ন-পরিচর্যাতেই ঈদের মূল প্রস্তুতি ও আনন্দ। ইতোমধ্যে সারা দেশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। রাজধানী ঢাকায় ট্রাকে করে কোরবানির গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এসব আনা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।

কোরবানিদাতারা পছন্দের পশুটি কেনার জন্য সুবিধামতো বিভিন্ন হাটে যাচ্ছেন। রাজধানীতে অনেকেই কোরবানির পশু কিনে ভবনের কার পার্কিং ও সামনের ফুটপাতে রেখেছেন। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে বিকোচ্ছে তাজা কাঁঠালপাতা, খড়-বিচালি-ভুসি ইত্যাদি।

কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নত অনুসরণ করেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ কোরবানি দিয়ে থাকেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির জন্য মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পেয়েছিলেন। পরপর দুবার তিনি পশু কোরবানি করেন। তৃতীয়বার একই নির্দেশ পেয়ে তিনি অনুধাবন করেন, পুত্র ইসমাইলের চেয়ে প্রিয় তার কেউ নেই। আল্লাহপাক তাকেই কোরবানি করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর নির্দেশ জানালেন। শিশু ইসমাইল (আ.) নির্ভয় চিত্তে সম্মতি দিয়ে পিতাকে আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পালন করতে বলেন।

কোরবানি করতে উদ্যত হজরত ইব্রাহিম (আ.) পুত্রস্নেহে যেন হৃদয় দুর্বল না হয়ে পড়েন, সে জন্য তিনি চোখ বেঁধে নিয়ে পুত্রের গলায় ছুরি চালিয়েছিলেন। আল্লাহতায়ালার অপার কুদরতে এ সময় হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। ঈদের নামাজের জামাতের আগে খুতবায় হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর কোরবানির এই কাহিনি তুলে ধরবেন ইমামেরা। বিনম্র চিত্তে তাদের স্মরণ করবেন সারা বিশ্বের মুসলমানরা।

কোরবানি দেওয়া আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ওয়াজিব। ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হলেও পরের দুদিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি করার বিধান রয়েছে।

 
Electronic Paper