শোলাকিয়ায় হবে ঈদের বৃহত্তম জামাত
সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০১৯
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দেশের ঈদুল আজহার সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মূল ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ হজে থাকায় এবার ইমামতি করবেন বড় বাজার মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা মো. হিফজুর রহমান। জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে এ বৃহত্তম ঈদগাহ মাঠের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের জামাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ।
এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ লাইনে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
জনশ্রুতি আছে, শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথমে জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছিলেন। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়ালাখিয়া থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামে ঈদগাহটি পরিচিতি লাভ করে।
১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে জঙ্গলবাড়ির জমিদার সাহেবও এ মাঠে নামাজ পড়তে আসতেন। তখন থেকে বড় জামাত শুরু হয়। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রথম বড় জামাতের ইমামতি করেন শোলাকিয়ার সুফি সৈয়দ আহমদ। আন্তর্জাতিক ও বরকতময় শোলাকিয়া ঈদগাহে যুগে যুগে খ্যাতনামা আলেমগণ ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২৬৫টি কাতার সংবলিত শোলাকিয়া ঈদগাহে প্রতি বছর লাখ লাখ মুসল্লির সমাবেশ ঘটে।
প্রতি বছরই ঈদুল আজহার দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিণত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মহামিলন কেন্দ্রে। এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই।
সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে এক নতুন সমাজ গড়ার শিক্ষা নিয়েই জামাত শেষে বাড়ির পথে শোলাকিয়া ছাড়েন তারা।