নানান শঙ্কায় এসেছে ঈদ
নিরাপত্তা জোরদার করুন
সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৯, ২০১৯
কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। ঝাঁকে ঝাঁকে ঘরে ফিরছে মানুষ। নানান বিড়ম্বনা কাটিয়ে প্রাণের টানে বাড়ি ফেরাই এখন সবার কাছে মুখ্য ব্যাপার। ভোগান্তি-হয়রানির বিপরীতে কয়েকদিন সবুজ শ্যামল গ্রামে সময় কাটাতেই বাধা বিপত্তি ডিঙিয়ে ছুটছে সবাই। প্রতি ঈদের মতো এবারও ঘরমুখো মানুষের জন্য জমা আছে বাসে টিকিটের স্বল্পতা, ট্রেনে বিলম্ব, যানজট, ভাড়া নৈরাজ্য এবং জীবনের ঝুঁকির মতো বিষয়গুলো। এখন এগুলো আর খারাপ বা নেতিবাচক হিসেবে না দেখলেও এই ঈদের বাড়তি যন্ত্রণা হিসেবে যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু এবং বিরূপ আবহাওয়া।
কয়েক মাসের নানা নাটকীয়তা, পক্ষে বিপক্ষে কটাক্ষ, উদ্যোগহীনতার মধ্যে উদ্যোগ নিয়েও দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েছে। রাজধানী থেকে ধীরে ধীরে তা ছড়িয়েছে সমগ্র দেশে। তাই ঈদযাত্রার বাড়তি সঙ্গী হচ্ছে ডেঙ্গু। বৃষ্টিতে কোরবানির পশুর হাটের চিত্রও যাচ্ছেতাই। নদীপথে যাত্রা নিয়ে দুর্যোগ-দুর্ভোগের শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। আর, সড়ক পথে যানজটের চিত্রও ‘নতুন বোতলে পুরনো কাসুন্দি’। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, নানান ঝক্কি কাটিয়ে বাড়ি ফিরেও ঈদে আনন্দের বিপরীতে এবার সবার মাঝে আতঙ্ক থাকছেই। চলমান লঘুচাপে বৃষ্টির প্রভাবে এবারও কোরবানির কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অর্থাৎ, সার্বিক পরিস্থিতি এবার সাধারণের প্রতিকূলে।
এত কিছুর পরও ঈদ পালন করবে দেশবাসী। কোনো কিছুতেই আটকাবে না ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি। কিন্তু তার আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে তা দূর করার জন্য আগেই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এই দুই দিনেই সবাই ঘরে ফিরছে। তাই সব ধরনের যাতায়াত ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন এবং ঝামেলামুক্ত রাখা সড়ক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের একান্ত কর্তব্য।
একই সঙ্গে ঈদের বোনাস ব্যতীত ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ট্রেন সূচি বিপর্যয় রোধ করে যথাসময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে। একই সঙ্গে টিকিট বাণিজ্য এবং ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। পশুরহাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও কঠোর নিরাপত্তা জরুরি।
এবার সবচেয়ে আতঙ্কজনক বিষয় ডেঙ্গু। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হচ্ছে, ডেঙ্গু নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এমনটি ভাবা নেতিবাচক হলেও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। রাজধানীতে যে প্রকোপ দেখা দিয়েছে তাতে বাস-লঞ্চ-ট্রেন থেকে ডেঙ্গু ছড়ানো অমূলক নয়। ডেঙ্গু যেহেতু দেশব্যাপী ছড়িয়েছে, তাই সতর্ক থাকারও বিকল্প নেই। সর্বোপরি, চারদিকের শঙ্কা নিয়ে এসেছে ঈদ। এখন যতটুকু সম্ভব সাধারণকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বাড়ি যাওয়া এবং পুনরায় কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত সাধারণের প্রত্যেকটি বিষয় তদারকিতে রাখতে হবে সরকার পক্ষকেই। রাষ্ট্রযন্ত্র হিসেবে সরকার এবং প্রশাসনেরও এটি নৈতিক দায়িত্ব।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228