ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মোংলা বন্দরে হয়রানির শিকার বিনিয়োগকারী

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০১৯

মোংলা বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে। জনতা ব্যাংক মোংলা পোর্ট শাখার ওই ব্যবস্থাপক ভারতীয় একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ৩০ কোটি টাকার চেক নানা তালবাহনায় অনুমোদন না দিয়ে অহতেুক হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতীয় কোম্পানীটি অর্থ ছাড়ের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলেও দীর্ঘ প্রায় এক মাসেও ৩০ কোটি টাকার চেক অনুমোদন না পাওয়ায় তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে দফায় দফায় ব্যাংকটির মোংলা পোর্ট শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে ধর্না দিয়েও কাজ হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া ও জয়েন্ট ভেনসার প্রায়তি কুশল সি ঈগল ড্রেজিং জেভির প্রতিনিধি বি. ঠাকুর অভিযোগ করে বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি অনুযায়ী গত ৩০ জুন মোংলা বন্দরের জেটি থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজ শেষ করেছেন তারা। নিয়মানুযায়ী তারা এ কাজের অর্ধেক বিল দেশীয় মুদ্রায় এরই মধ্যে পেয়েছেন। কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের টাকার অর্ধেক বিল নিয়ে। এ বিল ছাড় করাতে তাদের পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সর্বশেষ তাদের ৩০ কোটি টাকার একটি চেক নিয়ে নানা রকম টালবাহানা করছেন মোংলা পোর্ট শাখার ব্যবস্থাপক মো. আবদুল হামিদ শেখ। তিনি তাদের চেক দিতে গত এক মাস ধরেই হয়রানি করছেন।

বি. ঠাকুর আরও বলেন, আমরা সব রকম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েও এ চেক অনুমোদন পাচ্ছি না, কেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক এমন করছেন তা নিয়ে তাদের কাছে রহস্য মনে হচ্ছে। চেক অনুমোদন না পাওয়ায় আমরা লেবারদের (শ্রমিক) বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচও দিতে পারছি না।

এ নিয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক মো. আবদুল হামিদ শেখের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুসরণ করেই আমরা চেক ছেড়ে দেব।

 
Electronic Paper