ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রেকর্ড সংখ্যক কোরবানির গরু

সুষম বণ্টন কাম্য

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৭, ২০১৯

বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা। জমে উঠছে পশুরহাট আর সেই সঙ্গে প্রস্তুত হচ্ছে ঈদবাজার। ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি এ সময়ে দেশের অর্থনীতির বাজারও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই প্রতিবছরই কোরবানির ঈদ আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য সুসংবাদই নিয়ে আসে। তবে এর অন্যথাও হয়েছে বটে, কিন্তু এ বছর কোরবানির জন্য চাহিদার তুলনায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটি আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক সংবাদ হিসেবেই গণ্য হচ্ছে।

খোলা কাগজে প্রকাশ, গত কয়েক বছরে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ করায় দেশে গরুর খামারি বেড়েছে। বেড়েছে গরু উৎপাদনও। এ বছর উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যার পরও কোরবানি পশুর বাজারে কোনো প্রভাব পড়ছে না। কারণ দেশেই উৎপাদিত হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক গরু ও অন্য গবাদিপশু। ফলে কোরবানি ঈদে গরুর জোগানে যে সংকটের আশঙ্কা করা হয়েছিল সে আশঙ্কা আর থাকছে না বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার বন্যার কারণে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, গরুর সবচেয়ে বৃহৎ সরবরাহকারী অঞ্চল উত্তরবঙ্গ থেকে গরু আসবে না হাটগুলোতে। ফলে গরুর জোগানে টান পড়বে। এতে বাজারে গরুর দাম বেড়ে যাবে। কিন্তু এ আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে হাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক বছরে যে হারে সারা দেশে খামার বেড়েছে এবং যে পরিমাণ গরু উৎপাদিত হয়েছে তাতে উত্তরবঙ্গ থেকে গরু না আসলেও চলবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, ২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত বৈধ পথে ভারত থেকে মাত্র ৯২ হাজার গরু এসেছে। দেশের কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ। কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মজুদ রয়েছে প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ। তার মধ্যে সারা দেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু ও মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল ও ভেড়া এবং ছয় হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি হিসাবে গত কোরবানি ঈদে দেশে পশু জবাই হয়েছিল এক কোটি ১৫ লাখ। এর মধ্যে ছাগল-ভেড়া ছিল ৭১ লাখ এবং গরু-মহিষ ৪৪ লাখ। এবার সেই হিসেবে গত বছরের চেয়ে তিন লাখেরও বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফলে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির গরুর জন্য আর ভারতের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না।

এদিকে চামড়ার দাম এবারও অপরিবর্তিতই থাকছে। গত বছরের দামেই কেনা হবে এবারের কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া। তবে চামড়ার দাম নির্ধারণ ও ক্রয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা প্রতি বছর হয়ে থাকে, তা যেন এবার না হয় সেদিকে সরকারের সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper