ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানের চেষ্টা

এসআই প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ৮:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৬, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. উবায়দুল্লাহ (৩০) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক দপ্তরীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সদর মডেল থানার এসআই জামিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত সোমবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত উবায়দুল্লাহ। লিখিত অভিযোগের পর আলোচিত এসআই জামিরুল ইসলামকে সোমবার রাতে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসআই জামিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এসআই জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানার ছয় পুলিশ সদস্য খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। পরে বশির নামে কেউ আছে কি না জিজ্ঞেস করেন জামিরুল। এ নামে কেউ নেই বলার পর জামিরুল দপ্তরী উবায়দুল্লার পকেটে হাত দেন।

তবে কিছু না পেয়ে আবার বলেন, বাচ্চু নামে কেউ আছে কি না। এরপর উবায়দুল্লাকে স্কুলের সব কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। পরে জামিরুলের সঙ্গে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আবার উবায়দুল্লাহর পকেট চেক করার নামে কয়েকটি ইয়াবা ঢুকিয়ে দেন।

এরপর জামিরুল উবায়দুল্লাহকে বলেন, তুই ইয়াবা ব্যবসা করিস। আর কোথায় ইয়াবা আছে বল। এর পরপরই জামিরুল ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য উবায়দুল্লাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে উবায়দুল্লাহর বাবা নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও আটক করে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন জামিরুল। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব এসে দুই হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে উবায়দুল্লাহ ও তার বাবাকে ছাড়িয়ে নেন।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন এসআই জামিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি খাকচাইল গ্রামেই যাইনি। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper