ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফখরুলসহ চার নেতার আগাম জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৬, ২০১৯

বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করার কারণে হুমকি দেয়ায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলসহ ৯ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপির শীর্ষ ৪ নেতা। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে এ আবেদন জমা দেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।

এরা হলেন- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এর আগে সোমবার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।

পরে মামলার শুনানি নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার। তাই এ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান বিএনপির চার শীর্ষ নেতা।

এই চারজন ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বরখাস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা এবং ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই আমার বাসায় একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ওই শালারপুত গোপালী এ বি সিদ্দিকী বিশ্ব মামলাবাজ তুই বড় বাড়াবাড়ি করছিস তোর বোন শেখ হাসিনার দাপট দেখাচ্ছিস। তোর মামলায় আমার জীবন নষ্ট হয়েছে। আর আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলখানায় বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছিস। আইএসের কাছে পাঠিয়েছি। এবার তোরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক।

এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিল তোকে খুন করার জন্য। তাই আমাদের নেতারা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত ছাত্রদলের ক্যাডার যিনি তারেক রহমানের বিশ্বস্ত ব্যক্তি এমদাদুল হককে তার বাহিনী নিয়ে তোকে কোর্টকাচারির আশপাশে খুন করার জন্য আটক করেছিল। কিন্তু বংশাল থানার আশপাশে থাকায় এবং কাকুতি মিনতি করায় তারা তোকে শর্ত দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। এক মাসের মধ্যে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিবি। তুই আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো ছিনতাই মামলা দিয়েছিস। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে আইএসসহ আমাকে পাঠিয়েছে। এইবার আর তোরে কেউ বাঁচতে পারবে না প্রস্তুত হয়ে থাক।

এবি সিদ্দিকী বলেন, হুমকির পরের দিন সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি। আজ মামলা করেছি। দণ্ড বিধির ১০৯/৫০৬ ধারায় আসামিদের অপরাধ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

 
Electronic Paper