পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা
মানিক হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)
🕐 ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৫, ২০১৯
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কোরবানির পশুরহাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে। সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায়ের পরিবর্তে অবৈধভাবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের নজরদারি নেই। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক হাটের কোনো স্থানেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত কোনো তালিকা টানানো হয়নি। এতে ক্রেতা-বিক্রেতারা রয়েছেন অন্ধকারে। এ কারণে বাধ্য হয়েই তাদের অতিরিক্ত খাজনা দিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য ৩০০ টাকা ও ছাগল- ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা খাজনা নেওয়ার বিধান রয়েছে। ইজারাদারদের এ ধরনের আচরণে ক্রেতারা হাটে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তোফাজ্জল আলী, আবদুল হান্নান, রইচ উদ্দিনসহ একাধিক গরু ক্রেতা জানান, ইজারাদাররা প্রতিটি গরু থেকে ৬০০ টাকা করে খাজনা নিলেও তারা রশিদে নির্ধারিত খাজনার জায়গা থাকলেও টাকার অঙ্ক লেখা হচ্ছে না।
আদম আলী, জিনাত আলী, ছানোয়ার হোসেনসহ একাধিক গরু বিক্রেতা জানান, ইজারাদাররা রসিদ লেখার জন্য প্রতিটি গরু থেকে ১০০-২০০ টাকা করে নিচ্ছেন। ক্রেতা মোকছেদ আলী জানান, সাত হাজার ১০০ টাকায় একটি খাসি ছাগল কিনে ৩০০ টাকা খাজনা দিতে হয়েছে। কিন্তু রশিদে সেই টাকার উল্লেখ নেই।
শরৎনগর হাটের ইজারাদার সামছুল হোসেন জানান, এ হাট এক কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডেকে নিয়েছি। সারা বছর টোল আদায়ের যে অবস্থা পুরো টাকা উঠবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। তারপরও বেশি খাজনা নেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, কোরবানি পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের সুযোগ নেই। হাট ইজারা গ্রহীতাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এ ধরনের অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।