মির্জাগঞ্জে ১৫ স্কুল-কলেজে প্রধানের পদ শূন্য
উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
🕐 ৯:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৪, ২০১৯
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের স্কুল, মাদ্রাসা ও তিনটি কলেজসহ পনেরটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, সুপার এবং অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি নিয়ে মামলার জটিলতার কারণেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকদের সংকট তো রয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোয় পাঠদান দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, বিদ্যালয়গুলোতে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক সংকট থাকায় আশানুরূপ ফলাফল হচ্ছে না বলে সূত্রে জানা যায়। প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান নিম্নমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, সরকার উপজেলা পর্যায়ে একটি মাধ্যমিক ও একটি কলেজ জাতীয়করণ সরকারি করায় সুবিদখালী ডিগ্রি কলেজ ও সুবিদখালী হাইস্কুল প্রধানের পদ শূন্য রয়েছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যেসব উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে- সুবিদখালী সরকারি কলেজ, কিসমতপুর দেলোয়ার হোসেন কলেজ, হাওলাদার ফাউন্ডেশন ওমেন্স কলেজ, সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুলতানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাবুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন দরগাহ শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়।
যেসব মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সুপারের পদ শূন্য রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা, চত্রা ওলামা মঞ্জিল দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ গাবুয়া দাখিল মাদ্রাসা ও উত্তর চৈতা আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা। এছাড়া উপজেলার কিসমতপুর দেলোয়ার হোসেন কলেজের অধ্যক্ষের পদ প্রায় একযুগ পর্যন্ত শূন্য থাকায় শিক্ষার মান নিম্নমুখী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুদ্দিন ওয়ালিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে মামলা চলার কারণে এসব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অল্পদিনের মধ্যেই জটিলতা কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষার মান উন্নত করা হবে।