ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রমরমা গরু-ছাগলের হাট

নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৪, ২০১৯

দরজায় কড়া নাড়ছে মহান ঈদুল আজহা। দেশের প্রত্যেক স্থানে কোরবানির পশু বিক্রির ধুম পড়েছে। গরু-ছাগলের বিরাট হাটেরও অভাব নেই। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত স্থানে স্থানে মিলেছে মেলা। প্রতিবছর ব্যাপক নিরাপত্তা দিয়ে এই হাটের আয়োজন করা হয়। এবারও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যোগ করা বাঞ্ছনীয়। গরুর হাটের এই আমেজের সঙ্গে ডেঙ্গুরও প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে হাট থেকে সৃষ্ট ময়লা, আবর্জনা, পয়ো ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা যথাযথ রাখা এখন সময়ের দাবি।

খোলা কাগজে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কোরবানির হাট পর্যবেক্ষণে এই প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া, প্রতিটি হাটের নিরাপত্তায় পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ, বিশেষ শাখা, এনএসআই ও ডিজিএফআইসহ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগের বাহিনী থাকছে। অর্থাৎ, শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে মেলার কার্যক্রম। তবে, গরু হাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সুস্পষ্ট তথ্য মিলছে না। এর সঙ্গে যে ডেঙ্গুবাহী মশার উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে তাও আমলে আনছে না কেউ।

দেশজুড়ে সাধারণের মাঝে যেমন ঈদের আমেজ বিরাজ করছে, অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ে অনেককেই হাসপাতালে দৌড়াতে হচ্ছে। সরকার কর্তৃক দেশবাসীকে মশার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। ডেঙ্গু বিস্তারের মধ্যেই রাজধানীতে বেশ কিছু বড় হাট মিলেছে। সেখানে ময়লা, আবর্জনা, পানি, খরকুটাসহ নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আর ওইসব জায়গা থেকেই ভয়াবহ ডেঙ্গুধারী এডিস মশার উৎপাদন হতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাহ্যিক নিরাপত্তাসহ ভেতরকার পরিবেশও সুন্দর রাখার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

বিপুল পরিমাণ পশুর জোগান এবং ক্রেতা-বিক্রেতার আগমনে হাটের অবস্থা করুণ হয় প্রতিবছর। নিরাপত্তাও থাকে অনেক শক্তিশালী। বিগত বছরগুলোতে তেমন হয়রানি-রাহাজানির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এই সময়ে একই সঙ্গে যেমন নিরাপত্তা প্রয়োজন, তেমনি হাটের কারণে যেন ডেঙ্গু প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়টিও খেয়ালে রাখতে হবে। সবচেয়ে জরুরি একটি সুন্দর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। তাছাড়া, হাটের পাশ্ববর্তী এলাকাতেই বানাতে হবে পরিকল্পিত ময়লা ফেলার জায়গা। মনে রাখতে হবে, জানমালসহ হাটে বিপুল পরিমাণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে শারীরিক নিরাপত্তাও জরুরি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper