ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেহাল সড়কে ভোগান্তি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০১৯

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার বিকল্প সড়কের আলীপুর-চাপলী বাজার ১২ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে ছোট ছোট পুকুরের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পর্যটকসহ স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থী।

এছাড়া সূর্যোদয় দেখার স্থান গঙ্গামতিসহ দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন ও কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজে এ পথ দিয়ে প্রতিদিনই দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনসহ ভিআইপিদের গাড়ি চলাচল করছে। অথচ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। জনভোগান্তি নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামতের দাবি জানান ভুক্তভোগী ও পর্যটকসহ এলাকাবাসী।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির ওপরের অংশ ভেঙে ইটের খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্তের। সড়কটির কোনো কোনো পয়েন্টে দুপাশের অংশ ভেঙে গিয়ে সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে অনেকেই।

স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়েই পর্যটকরা দেখতে যায় এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সীমা বৌদ্ধমন্দির। এছাড়া সূর্যোদয়ের বিরল দৃশ্য দেখতেও এ সড়ক ব্যবহার করে গঙ্গামতির সূর্যোদয় স্পটে ছুটে যাচ্ছে দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু হাজারো পর্যটক। এ সড়কের পাশেই অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। প্রতিদিন বেশ কয়েকটি পরিবহন গাড়ি এ পথেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। অথচ পর্যটক ও জনসাধারণের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বেহাল দশা নিরসনে যেন কেউ নেই।

পর্যটক রিয়াজুল করিম বলেন, কুয়াকাটার আকর্ষণে ছুটে এসেছি। মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধমন্দির দেখতে যাব। কিন্তু গাড়ি খানাখন্দে পড়ে টায়ার পাঙ্কচার। রাস্তার যে অবস্থা তা দেখে দ্বিতীয়বার কেউ এখানে আসবে বলে মনে হয় না। স্থায়ী বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, ভ্যানযোগে আলীপুর বাজারে যাওয়ার পথে ভ্যান উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। কলেজ শিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, এ সড়কটি এখন একটা মরণফাঁদ। গাড়িতে উঠলে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেতে হয়।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে মেরামতের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। ওই কাজের জন্য টেন্ডারও হয়েছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন না পাওয়ায় সড়কটির মেরামতের কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, কুয়াকাটায় একটি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সড়কটি মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

 
Electronic Paper