ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তাড়াশে কোরবানির জন্য আট হাজার পশু প্রস্তুত

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০১৯

ঈদুল আযহা সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে প্রায় আট হাজার পশু। এ অঞ্চলের খামারী ও চাষিরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে এসব পশু মোটাতাজা করছেন। ভারত থেকে গরু আমদানি কমে যাওয়া এ অঞ্চলের গো-খামারীরা বেশি লাভের আশা করছেন। তবে ভারত, নেপাল ও মায়ানমার থেকে গরু আমদানি হলে দেশি গরুর দামে কমে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, গরু মোটাতাজাকরণ একটি নিয়মিত ও প্রচলিত পদ্ধতি। বিশেষ পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত ইউরিয়া, লালিগুড় ও খড়ের একটি বিশেষ মিকচার আট দিন কোন পাত্রে বন্ধ করে রেখে তা রোদে শুকিয়ে গরুকে খাওয়াতে হয়। তিন মাস এটা খাওয়ালে গরু খুব দ্রুত মোটাতাজা হয়ে ওঠে। এ গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

খামারী আব্দুস খালেক জানান, সাধারণত গরুকে প্রাকৃতিক পন্থায় মোটাতাজা ও সুস্থ রাখতে খড়, লালি গুর, ভাতের মার, তাজা ঘাস, খৈল, গম, ছোলা, খোসারী, মাসকালাই, মটরেরভূসিসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। গরুর জন্য এটা বিজ্ঞানসম্মত। এ নিয়মে গরু মোটাতাজা করা হলে ক্রেতা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন না। এ ধরনের গরুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা গরুর চাহিদা ও দাম ভাল পাওয়া যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ড. আবু হানিফ জানান, তাদের হিসাব মতে, প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার খামারী রয়েছেন। তাছাড়া জরিপের বাহিরে অনেক খামারি রয়েছেন যা হিসাবে নেই। এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে এ উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার গরু দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরন করছেন খামারীরা। এ উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার গরুর চাহিদা রয়েছে। এখানে চাহিদা মিটিয়ে এ উপজেলার গরু দেশে বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হয়।

 
Electronic Paper