সিরাজগঞ্জে ৭০ ভাগ বাড়িতে এডিস মশা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০১৯
ডেঙ্গু রোগে প্রতিনিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। প্রথম দিকে রোগটি ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে জেলাগুলোতে। যা নিয়ে রীতিমত এখন সবাই আতঙ্কিত। এমর শঙ্কার মাঝেই সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ৭০ শতাংশ বাড়িতেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
গত দুই দিনে সিভিল সার্জন কার্যলয়ের অ্যান্টোমোলজি টেকনিশিয়ানরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে এডিস মশার লার্ভা এবং এডাল্ট মশা পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন অফিস।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পৌর এলাকা থেকে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। আরো অনেক স্থানে থাকতে পারে। শুধু ওষুধ দিলে হবে না, সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা সিভিল সার্জন কার্যলয় থেকে লিফলেট, ব্যানার, প্রচার মিছিল এবং বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছি। এখন পর্যন্ত জেলায় ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ১১ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকিরা সিরাজগঞ্জ সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের প্যাথলজিকাল পরীক্ষার মূল্য ৫০০ টাকা নেওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যলয়ে অ্যান্টোমোলজি টেকনেশিয়ান মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত দুই দিন আমরা সিরাজগঞ্জের সার্কিট হাউজসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ পৌরসসভার ক্যাম্পাসের ভেতর স্তূপ করে রাখা গাড়ির টায়ারের মধ্যে অনেক এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি। পুলিশ সুপারের বাসভবনের ফুলের টপে লার্ভা এবং এডাল্ট মশা পেয়েছি।
সিভিল সার্জন কার্যলয়ের আরেকজন অ্যান্টোমোলজি টেকনেশিয়ান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা সিরাজগঞ্জে দুদিনে যে পরীক্ষা করেছি তাতে প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়িতেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। লার্ভা থেকে মাত্র দুদিনেই এডাল্ট মশা জন্ম নিতে পারে।
এখন যদি সচেতন না হওয়া যায় তাহলে এটি বড় সমস্যা হবে এ শহরের জন্য। আমরা পৌরসভাকে জানিয়েছি কোথায় কোথায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। তারা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।