ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাসমান লেবুর হাট

শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ৬:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০১৯

ঝালকাঠির ২২ গ্রামে উৎপাদিত লেবু যাচ্ছে সারা দেশে। জেলার সদর উপজেলার বাউকাঠি, শতদশকাঠি, ভিমরুলী, কাফুরকাঠি, আটগড়, গাভারামচন্দ্রপুর, পোষা, ডুমুরিয়া, খেজুরা, কির্ত্তিপাশা, মিরাকাঠিসহ ২২ গ্রামে প্রতিবছর ব্যাপক লেবুর উৎপাদন হয়।

সরেজমিন সদর উপজেলার ভীমরুলীর ভাসমান লেবুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, এখান থেকে পাইকাররা লেবু নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন এখানে লাখ লাখ কাগজি লেবু কেনা-বেচা হচ্ছে। ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় চাষিরা লেবু বিক্রি করছে।

ভিমরুলী গ্রামের লেবুচাষি মানিক মজুমদার জানান, একবার লেবু গাছ লাগানোর পর তা একাধারে ২০-২৫ বছর ফলন দেয়। বছরে তিনবার ফল আসে। ঝালকাঠির এ কাগজি লেবুর কদর ও সরবরাহ হয় ঢাকা, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারিপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

শতদশকাঠির লেবুচাষি সুভাষ, অতুল হালদার জানান, আমরা সহজ শর্তে ঋণ পেলে এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে লেবু চাষ আরও সম্প্রসারণ করতে পারি। কিন্তু তা পাচ্ছি না। সরকার কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার কথা শুনছি। কিন্তু তার সুফল আমাদের ভাগ্যে জোটে না। তাই চড়া সুদে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ফজলুর রহমান জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলা উত্তরাঞ্চলের চাষিরা ব্যাপকভাবে কাগজি লেবু চাষ করেন।

এ লেবু ছোট হলেও ভেতরে পর্যাপ্ত রস থাকে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর প্রতি সবারই কম-বেশি আকর্ষণ আছে। লেবু চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

 
Electronic Paper