ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং করণীয়
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ
🕐 ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০১৯
ডেঙ্গুজ্বর মূলত এডিস জাতীয় মশার কামড়ে হয়। ডেঙ্গু ভাইরাস চার রকমের থাকে। মেডিকেল টার্মে বলা হয় ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। চারটা আলাদা ভাইরাস।
লক্ষণ : যে কোনো ভাইরাস জ্বরে শরীরের খুব অতিরিক্ত তাপমাত্রা হয়। এই রোগের বেলায় ১০৩-৪-৫ হতে পারে। ৪/৫ দিন জ্বর থাকে, জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এগুলো দিয়ে ডেঙ্গু খুব সহজেই বোঝা যায়। ৪-৫ দিন চলে যাওয়ার পর লাল লাল ফুসকুঁড়ি (ঘামাচির মতো) ওঠে। এ সময় রক্তের প্লাটিলেট কমে যায়। রোগীর রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। নাকে রক্ত, মুখে রক্ত, বমির সঙ্গে রক্ত, পায়খানার সঙ্গে রক্ত।
আবার অনেকে ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেশি হয়। দেখা যায়, ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে, রক্তপাত আর থামছে না। আগে দু-একদিনে ভালো হতো, এখন ভালো হচ্ছে না। অথবা সম্প্রতি ঋতুস্রাব শেষ হয়ে গেল অসময়ে আবার শুরু হয়ে গেল। রক্তচাপ কমে যায়, প্রস্রাব কমে যায়। তখন একটা জটিল রোগ হতে পারে যাকে বলে ডেঙ্গু শকসিন্ড্রম। এতে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়, সিরিয়াস হয়ে মারাও যেতে পারে।
করণীয় : ডেঙ্গুর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত হলে বিশ্রামে থাকবে, জ্বরের জন্য প্যারাসিট্যামল খাবে, ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছতে পারে। প্রচুর পানি খাবেন- শরবত, গ্লুকোজ, ডাবের পানি খাওয়া যাবে। অনেকের ভুল ধারণা থাকে ডেঙ্গু হলেই রক্ত দিতে হয়। যদি খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয় সেক্ষেত্রে রক্ত দিতে হবে, অন্যথায় নয়। আবার প্লাটিলেট কমে গেলও তা দেওয়ার দরকার নেই। কারণ ৫/৬ দিন পর আবারো প্লাটিলেট বেড়ে যাবে। হ্যাঁ, যদি বেশি কমে যায় ডাক্তার যদি মনে করে তাহলে দিতে পারে।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ
বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও সাবেক ডিন বিএসএমএমইউ