নানা রঙের দিনগুলো...
নাছির উদ্দীন সোহাগ
🕐 ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০১৯
মানুষের জীবনের এক আশ্চর্য বাস্তবতা। প্রত্যেক মানুষেরই স্মৃতির পাতার জমে থাকে অনেক না বলা কথা। অনেক ভালো লাগা, অনেক কষ্ট বেদনা, সুখ-দুঃখ যন্ত্রণা সবসময়ই স্থান করে নেয় প্রতিটি মানুষের স্মৃতির পাতায়। সবার জীবনেই ভরপুর নানা রকম স্মৃতি দিয়ে। আমার জীবনও এর ব্যতিক্রম নয়। আমার জীবনের সবচেয়ে সোনালী সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বছর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিন এসেই (ভর্তি পরীক্ষার সময়) সোহরাওয়ার্দী হলে প্রথম যাই এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে বিকালে তার সাথে সাবাস বাংলা মাঠ, টুকিটাকি চত্বর ইত্যাদি ঘুরে দেখি। সেদিন থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যাই। সেদিন থেকেই স্বপ্ন দেখি পড়ালেখা করলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো না হলে পড়বো না। অবশেষে অনেক পরিশ্রমের পর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে।
প্রথম ক্লাস শুরু হয় ১০ই মার্চ ২০১৪। যেদিন ক্লাস করতে যাই অন্য দশ জনের মত আমার মুখে হাসি ছিল না। ছিল কান্না তার কারণ আজকে না বলি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমি শুধু ক্লাসের মধ্যেই থাকতে পারি নি, থাকতে পারিনি শুধু নিজ বিভাগের বন্ধুদের সাথে।
ছুটে চলেছি বিভিন্ন বিভাগের বন্ধুদের সাথে আড্ডা , খেলাধুলা, গান ও পড়ালেখা নিয়ে। ছুটে চলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব হতে পশ্চিমে, উত্তর হতে দক্ষিণ প্রতিটি প্রান্তে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে দিপেন চাকমা, শরীফ উদ্দীন , জাহিদ, ইউসুফ ও বিপ্লবের সঙ্গে কাটানো সময় কখনও ভুলবার নয় । ২০১৫ সাল থেকে শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে আবাসিকতা লাভ করি । তার আগে বন্ধু দিপেনের সঙ্গে শাহ মখদুম হলে একসঙ্গে থাকতাম। তার সঙ্গে কতই না মধুর স্মৃতি জড়িত।
রাজশাহীতে কখনো গ্রীষ্মে রোদে সিদ্ধ হয়েছি। বৈরী আবহাওয়ায় নিজেকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে ঠিকই কিন্তু যে গভীর মমতা আর ভালবাসায় আমাকে লালিত করেছে। তা কোনদিন ভুলবো না । আমার প্রিয় রুমমেট সবুর ভাই, সাজিদ ভাই, ইউসুফ ভাই, আশরাফ, সাদ্দাম রাকিব তাদের সাথে মুড়ি পার্টি ও কার্ড খেলা এইসব স্মৃতি কখনো ভুলবার নয়। আমরা সকলেই ছিলাম নিজ পরিবারের মতো। আমার বন্ধুদের সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল এবং তা থাকবে চিরকাল।