ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অপরাধী সন্দেহে গণপিটুনি ইসলাম সমর্থন করে?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:২০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০

প্রশ্নটি করেছেন অনন্যা রহমান উপমা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ থেকে
ছেলেধরা আতঙ্কে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ইতোপূর্বেও দেখা গেছে দেশে কোনো বড় ব্রিজ বা সেতুর কাজ শুরু হলেই এ ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল। পদ্মা সেতুর বেলায়ও ব্যত্যয় ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকার এটাকে গুজব জানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।

এ ধরনের গুজবে বিশ্বাস স্রেফ কুসংস্কারাচ্ছন্নতা। অজ্ঞতার যুগে শয়তানের উদ্দেশে এ ধরনের মানুষ বলি দেওয়া হতো। ইসলামে এসবের কোনো ভিত্তি নেই। এছাড়া, মানুষকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা নিন্দনীয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন- হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান পাপ। (সুরা হুজুরাত, আয়াত-১২)।

যে অপরাধী, সে তো অপরাধী। কিন্তু যখন স্রেফ অপরাধী হিসেবে কাউকে সন্দেহ করা হয় উপযুক্ত কারণ ছাড়াই, তখন সন্দেহটাই হয়ে ওঠে পাপ- তাকে আঘাত করা যে আরও কত বড় পাপ বলার অপেক্ষা রাখে না। কেউ যদি বলে ওঠে, ‘ওই তো ছেলেধরা, ওই তো ছেলেধরা’, এখানেও আগে যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক সে আসলেই ছেলেধরা কিনা। নয়তো খুব সম্ভব নিরপরাধ মানুষকে মারার দায়ে নিজেকেই অপরাধী সাব্যস্ত হতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- হে মুমিনগণ, তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসেক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তাহলে তা যাচাই করো। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই, (না হলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে। (সুরা হুজুরাত, আয়াত-৬)।

এরপরও কাউকে যদি উপযুক্ত কারণে ছেলেধরা সন্দেহ হয়, অথবা সে যদি প্রকৃত ছেলেধরাই হয়, তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া কর্তব্য। কারণ এ একটি গুজব সম্প্রতি কেড়ে নিয়েছে অনেক নিরপরাধ মানুষের প্রাণ।

 
Electronic Paper