ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জলাবদ্ধতা সীমাবদ্ধতা জবাবদিহিতা

আলম তালুকদার
🕐 ৬:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯

পৃথিবীর চারভাগের তিনভাগ কিন্তু জল। এ কারণেই প্রতি বছর পানি আসে অবিরল। পানি বা জল একেবারেই অবিচল। কিন্তু মানুষ নিজের বিপদ ডেকে এনে এখন জল দ্বারা নিজেই ‘সাইজ’ হয়ে যাচ্ছে। পানির সরল ধর্ম সে উপর হতে নিচের দিকে যাবেই যাবে। তো তাকে বাধা দিলেন তো বাঁধবে লড়াই। লড়াই চলছে। অতি চালাকরা আবার পানি বন্দি করে রাখার ফন্দি করেছে। কিন্তু তাকে তার সরল পথে ভ্রমণ করার পথে বাধা পয়দা করে রাখা হচ্ছে!

তো কথা হচ্ছে, আমাদের তিলোত্তমা ঢাকা বারবার পানির তলে কেন হাবুডুবু খাচ্ছে? কেন? কেন? কেনে? ক্যান? বিশেষজ্ঞদের মতে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা, জবাবদিহির অভাব ও উদাসীনতা! তারা মাস গেলে বেতন পান, মনের সুখে গাহান গান। জনগণ পেরেশান! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকলে, তাদের জবাবদিহির অভাব থাকলেও পানির তো অভাব নাই। মাটিতে না থাকলে মেঘের দেশে আছে। তারা তো কাউকে তোয়াজ করে না! মনে হলেই নেমে আসে। মাটিতে নেমেই তো আবার উৎস পানে ছোটে। ছুটতে দেবেন না? জমে যাবে, যা পাবে তাকে ডোবাবে! সোজা হিসাব! পানি নামলে তাকে নদীতে এবং সাগরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। ড্রেন ক্লিয়ার রাখতে হবে, ডোবানালা চলমান রাখতে হবে। তা না করলে তো যা হওয়ার তাই হবে। এসব কিন্তু সবাই জানে। কিন্তু সমস্যা কোথায়? এই রে, এবার একটা জোকস মনে লাফাইতেছে!

এক অফিসে কর্মচারীদের সুবিধার জন্য জীবনবীমা করার আদেশ জারি হয়েছে। সবাই ফর্ম ফিলাপ করলেও এক মহান নেতা করেনি। সে ঘোষণা দিয়েছে, কখনো করবে না। তার কলিগ, ছোটখাটো বস সবাই ফেল। শেষে বড় বসের কাছে সোপর্দ করা হলো। তো তাকে একা পেয়ে বিগবস বলল, ‘তোমার সমস্যা কী? তুমি যদি এ ফর্মে এখন সই না দাও, তাহলে, এই যে আমার হাতে লাঠি দেখছো, এটা তোমার নরম জায়গা দিয়ে তেল ছাড়াই ঢুকিয়ে দেবো’!

বসের ভাবসাব দেখে, গালিগালাজের ভাষা শুনে তখনই সে সই দিতে দিতে বলে, ‘স্যার আমাকে এর আগে আপনার মতো এত প্রাঞ্জল ভাষার, মধুর বাক্যে কেউ বুঝাইয়া কয় নাই তো’! প্রিয় পাঠক, প্রশ্ন হলো- ওই যে উনাদের কেউ প্রাঞ্জল ভাষায় কেউ কিছু না বললে কি কিছু হবে? মনে হয় না! এমন প্রজাতি এখন প্রাঞ্জল ভাষার অপেক্ষায় আছে! তবে ভাড়া ঘরে বৃষ্টির পানি পড়বে না তো শরবত পড়বে? এ কথাটাও আমরা জানি। সেই কারণে বলি কি, বর্ষাকালে তো বৃষ্টিই হবে নাকি? তবে বন্যা নামে কন্যা ঘরে থাকলেও সে যদি আসল বন্যায় রূপান্তরিত হয় তাহলে খবর হয়া যায়!

জলাবদ্ধতা দূর করার পরামর্শ দিয়ে আপনাদের বিমর্ষ করতে চাই না। আমি আমার স্বভাবগতভাবে শব্দ বর্ষণ করে যাই। এ জোকসটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এবং টুকলিফাই করা। এক দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা কবলিত হয়ে গেছে। রাজধানীর আনাচেকানাচে পানি আর পানি। অনেক সরকারি ভবন পানির তলে। প্রধান সড়কের কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর পানি। দেশের প্রেসিডেন্ট তার গাড়ির বহর নিয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। গাড়ি সব চলছে দু দিকে মাথা সমান ঢেউ তুলে, এর মধ্যে এক পথচারী পানির ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে গিয়ে পানি খেয়ে কাহিল হয়ে চিৎকার করে বলছে- মি. প্রেসিডেন্ট, আমাকে বাঁচান, আমি সাঁতার জানি না! প্রেসিডেন্ট শুনলেন, বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘সাঁতার জানিস না কথাটা চিৎকার করে বলার কী দরকার? সব কিছু সবাইকে জানতে হবে নাকি? না জানলেও চলে! ঠিকমতো রাষ্ট্র চালাতে না পারলেও আমি কি তোর মতন চেঁচামেচি করে সবাইকে বলতে যাবো নাকি? ব্যাটা গাধা, চুপ কর!

আমিও চুপ করে সরে গেলাম। আমার লেখাও যে ভালো লাগবে না তা জেনে গেছি। অতএব নো চেঁচামেচি!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper