ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আনসার নিয়োগে অর্থ বাণিজ্য

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
🕐 ৯:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৯

বরগুনার আমতলীতে আনসার নিয়োগে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের ডিউটি মিলছে না। আমতলী উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের লোকজনের চাহিদামতো টাকা দিলেই মিলবে নির্বাচনী ডিউটি। এমন অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক আনসার সদস্যের।

জানা গেছে, আগামী ২৫ জুলাই আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ৯টি ভোটকেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব পালনের জন্য ১৫৩ জন আনসার সদস্য প্রয়োজন। প্রয়োজন অনুযায়ী আনসার সদস্য চেয়ে চিঠি দেয় উপজেলা নির্বাচন অফিস। সেই চিঠি অনুসারে ১৫৩ জন আনসারের তালিকা করা হয়। ওই তালিকা তৈরি করতে আমতলী উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের আনসার কমান্ডার বশির উদ্দিনের মাধ্যমে প্রতি আনসার সদস্যের কাছ থেকে এক হাজার টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। যারা টাকা দিয়েছে তারাই ওই তালিকায় স্থান পেয়েছে। টাকা না দিলে সেই আনসার সদস্যের ওই তালিকায় নাম নেই।

রোববার আনসার ভিডিপি অফিসের সামনে কয়েকজন আনসার সদস্যকে ডাক চিৎকার করতে দেখা গেছে। তারা বলেন, আমরা টাকা দেইনি তাই আমাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। প্রত্যেক আনসার সদস্যের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়ে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তালিকায় নাম দিয়েছে।

আনসার কমান্ডার বশির উদ্দিন বলেন, আমি আপনার ছোট ভাই আমি এমন কাজ করিনি। আনসার ভিডিপি অফিসার আল-আমিন বলেন, কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাচনাপাড়া গ্রামের ফরিদা বেগম বলেন, আমি তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য বশিরের কাছে ৬০০ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমার নাম তালিকায় নেই। তিনি আরও বলেন, আমি ঢাকার সফিপুর আনসার ক্যাম্পে এক মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার। আমার নাম তালিকায় ওঠে না। আর অনেকে মাত্র মৌলিক প্রশিক্ষণ দিয়ে আনসার হয়েছে, তাদের নাম ঠিকই উঠছে।

আমতলী ফেরিঘাট এলাকার আনসার সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, টাকা না দিয়ে কেউ আনসারের ডিউটিতে যেতে পারে না। আনসার সদস্যের প্রত্যেককেই টাকা দিতে হয়। আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আব্বাস বলেন, বশিরকে আমার দাদা টাকা দিয়েছে। তাই আমার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

 
Electronic Paper