গাড়ি থেকে নামিয়ে ছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যা
মাদারীপুর প্রতিনিধি
🕐 ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৯
মাদারীপুরে দশম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি আক্তার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার ভোরে সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকা থেকে এ হত্যার মূল হোতা ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ হোসেন খানকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। র্যাব জানায়, দীপ্তিকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেন সাজ্জাদ। পরে লাশ একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখা হয়।
গতকাল শনিবার মাদারীপুর র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) আনিকা ইসলাম এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা জানান, গত ১৩ জুলাই পূর্ব খাগদীর একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর (১৫) মুখ পোড়ানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন ধারণা করা হয়, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরের দিন দীপ্তির বাবা লাশটি শনাক্ত করেন।
পরদিন দীপ্তির বাবা সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত শুরু করে। ১৮ জুলাই ওই পুকুর থেকে একটি সিমেন্টের ব্যাগে দীপ্তির ব্যবহৃত পোশাক, বোরকা ও জুতা উদ্ধার করে। এসব আলামতের সূত্র ধরেই সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
আনিকা ইসলাম বলেন, ৯ জুলাই মাদারীপুর শহরে দীপ্তি তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। ১১ জুলাই বিকালে বোনের বাসা থেকে ইজিবাইকে সে চরমুগরিয়ার দিকে চাচার বাসায় যাচ্ছিল। এ সময় সাজ্জাদ দীপ্তিকে একা পেয়ে তার মুখ চেপে নিজের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ সময় দীপ্তির মা নাসিমা বেগম কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়ে তো কারও কোনো ক্ষতি করেনি। আমি ওর ফাঁসি চাই।’
এর আগে ১৯৯২ সালে সাজ্জাদ সাত বছরের একটি শিশুকে গলাটিপে হত্যার মামলায় ১৮ বছর কারাভোগ করেন। তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।