ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বিজ্ঞান

ফাতেমা বেগম তমা
🕐 ৫:২০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৯

অধ্যায়-২ : পরিবেশ দূষণ
১. এ পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলি।
২. বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশ দূষিত হয়।
৩. পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো শিল্পায়ন।
৪. জ্বালানির ব্যবহারই দূষণের প্রধান উৎস।

৫. তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে হিমবাহ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।
৬. মাটি দূষণ : মাটি দূষণের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়।
৭. শব্দদূষণ মানুষ ও জীবজন্তুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করে। শব্দদূষণ মানুষের মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করছে।
৮. পরিবেশ সংরক্ষণ : প্রাকৃতিক সম্পদ, সম্পদের সুরক্ষা এবং ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।
৯. বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারি। প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে ও রিসাইকেল করেও আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।

১০.পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

অধ্যায়-৩ : জীবনের জন্য পানি
১. প্রাকৃতিক উৎস যেমন- বৃষ্টি, নদী, সমুদ্র ইত্যাদি থেকে আমরা পানি পাই। মানুষের তৈরি উৎস যেমন- দীঘি, পুকুর, কূপ, নলকূপ ইত্যাদি থেকেও পানি পাওয়া যায়।

২. উদ্ভিদের প্রায় ৯০ ভাগ পানি।
৩. মানবদেহের ৬০-৭০ ভাগ পানি।
৪, পরিপাকে সাহায্য করে পুষ্টি উপাদান শোষণ ও দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গে পরিবহনের জন্য পানি প্রয়োজন।
৫. রাতে ঘাস, গাছপালা ইত্যাদির ওপর যে বিন্দু বিন্দু পানি জমে তাকে শিশির বলে।
৬. বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে।
৭. তরল থেকে পরিণত হওয়া প্রক্রিয়াই হচ্ছে বাষ্পীভবন।
৮. পানিকে যখন শীতল করা হয়, তখন তা জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
৯. ভূপৃষ্ঠের পানির অনেকটাই সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়।
১০. যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সাগর ও নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়।

১১. বাষ্পীভূত পানি উপরে উঠে ঠাণ্ডা ও ঘনীভূত হয়ে পানির বিন্দুতে পরিণত হয়।
১২. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দু একত্রিত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে।
১৩. শীতল প্রধান দেশে তুষারও মেঘ থেকেই পৃথিবীতে পড়ে।
১৪. মানুষের কর্মকা- পানি দূষণের প্রধান কারণ।
১৫. নিরাপদ পানি- কিছু পানি মানুষের জন্য নিরাপদ। যেমন- নলকূপের পানি।
১৬. মানুষের ব্যবহারের জন্য পানিকে গ্রহণযোগ্য এবং নিরাপদ করার ব্যবস্থাই হলো পানি বিশুদ্ধকরণ।
১৭. ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হল ছাঁকন। এ প্রক্রিয়ায় পানি পরিষ্কার হলেও তা জীবাণুমুক্ত নয়।
১৮. তাই নিরাপদ পানির জন্য এ পানিকে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বালি, কাদা ইত্যাদি সরানোর এ প্রক্রিয়াই হল থিতানো
১৯. জীবাণুমুক্ত করার একটি ভালো উপায় হল ফুটানো জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানির জন্য ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পানি ফুটাতে হবে।

সিনিয়র শিক্ষক
বর্ণমালা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper