আলো আঁধারীর এরশাদ
স্বরচিত কবিতা
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১২:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৯
স্কুলে পড়ার সময়ই এরশাদের প্রথম কবিতা রচনার প্রয়াস। তার কবিতা ভাবনা ও কাব্য জীবনের প্রতি তীব্র আগ্রহ ও ভালোবাসার বিষয়টি বিবেচনা করলে অনেকের মনে হতে পারে রাজনীতিবিদ কিংবা সেনাপ্রধান নয়, তার একান্ত ইচ্ছে ছিল কবি হওয়ার। তাই তো জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি কবিতাকে ভালোবেসেছেন। তার জন্য আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন।
এরশাদের কবিতায় দেশের রূপ, সৌন্দর্য ও প্রকৃতির পাশাপাশি প্রেমের তীব্র আহ্বান লক্ষণীয়। তার একটি জনপ্রিয় কবিতা ‘প্রেমগীতি’। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ক্লান্ত বিকেলে অবশ পায়ে/ ঘুরেছি যখন এই পথে। শান্ত নদীর নীরব কিনারে/ দেখা হয়েছিলো তোমার সাথে।’ কবিতাটিতে তিনি প্রেমের তীব্র আহ্বানের কথা ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘তোমার নয়নে নয়ন রাখিয়া/ বলেছিনু এসো প্রিয়া/ তাপিত হৃদয়ে ঝরনা ঝরাও/ প্রেমের অঞ্জলি দিয়া।’ এরকম বহু কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে কবি এরশাদের বাংলার রূপ, লাবণ্য, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেমের মতো বিষয়গুলো।
জাপার এক সভায় প্রস্থানরত স্ত্রী রওশনের হাত ধরে থামিয়ে তিনি তাকে শোনান তারই লেখা একটি কবিতার কয়েকটি পঙক্তি, ‘নিঃসঙ্গ ধূসর বিশাল এক অন্ধকারে/ আমি জেগে আছি/ কোথায় ঊষার জ্যোতি/ কতদূর আলোর মৌমাছি?’ এবং তার স্ত্রীকে বলেন, রওশন তুমি আমার আলোর মৌমাছি। চলুন পড়ে নেওয়া যাক তার লেখা ‘হে সুধীবৃন্দ’ কবিতাটি-
সুধী, এমন সভায় প্রথম এলে/আমার নিমন্ত্রণে;
হৃদয়টা তাই নাচলো সুখে/এই মিলনের দিনে।
সবার প্রতি শ্রদ্ধা ছিলো গহীন হৃদয় তলে,
উজাড় করি দিলাম আজি/খুশীর অশ্রু জলে।
কাব্য আমার আপন জগৎ/ মনের মহারানী,
তার লাগিয়া বেঁধেছিনু/ ছোট্ট গৃহখানি।
সেই গৃহেতে বসত করে/ আমার ভালোবাসা
প্রেয়সীকে চিনিয়ে দিতে/ এই সভাতে আসা।
প্রিয়া আমার এমন প্রিয়া/ থাকে সংগোপনে
আপন ইচ্ছায় উঁকি মারে/ মনের বাতায়নে।
সেখান থেকে হাত বাড়িয়ে/ আনি আপন ঘরে,
আলিঙ্গনে ধরা পড়ে/ আমার বাহুডোরে।
তারে নিয়েই জীবন আমার/ এই দেহের সে প্রাণ
সদাই যেনো গাইতে পারি/ জীবনের জয়গান।