ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী

ফারুক হোসেন সজীব
🕐 ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৯

ছোট্ট বন্ধুরা! তোমরা তো কাঠবিড়ালীর নাম অনেক শুনেছ তাই না? হয়তো ছড়াও পড়েছ আমাদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের.. কাঠ বিড়ালী কাঠ বিড়ালী পেয়ারা তুমি খাও!

উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর কোনো পাখা নেই! কিন্তু পাখা না থাকলে কী হবে! ওরা কিন্তু ২০-৩০ মিটার খুব অনায়াসেই এগাছ থেকে ওগাছে অনেকটা ওড়ার ভঙ্গিতে ভেসে বেড়াতে পারে। ওদের ভেসে বেড়ানো দেখলে মনে হয় অনেকটা বাদুর ভেসে বেড়াচ্ছে।

আসলে ওদের শরীরে প্যাটাগিয়া নামের এক বিশেষ পর্দা থাকে। যা বাতাসে ফুলে ফেঁপে ওঠে। অনেকটা বেলুনের মতো। আর সেই পর্দাওয়ালা বেলুনের সাহায্যে ওরা কিছু সময় বেশ অনায়াসেই বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে। তবে ওদের সামনের পা দুটি কিন্তু পেছনের পা দুটি থেকে অনেকখানি ছোট। আর ঠিক সেটা থাকাতেই বিশেষ সুবিধা নেয় ওরা! মানে লাফ দিয়ে এগাছ থেকে ওগাছে চলে যায় ওরা।

সাধারণত ছোট জাতের উড়ুক্কুর দৈর্ঘ্য ৭-১০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ (২.৮-৩.৯ ইঞ্চি) আর ওজন মাত্র ১০ গ্রাম! তবে লোটিয়ান এক জাতের উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী আছে ১.০৮ মিটার (৩ ফুট)। উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর লোম অনেক নরম আর সংবেদনশীল। শরীরে মাঝে মাঝে ডোরা কাটা দাগও দেখা যায়। ওদের প্রধান খাদ্যই কিন্তু বাদাম আর লতাপাতা। তবে কিছু কিছু উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী আবার ছোট ছোট পোকা মাকড় ধরেও খায়!

তবে সাইবেরিয়া, মেক্সিকো, ব্রাজিল আসাম, দার্জিলিং প্রভৃতি স্থানে উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী (ঋষুরহম ঝয়ঁরৎৎবষ ) শ্রেণির কাঠবিড়ালী দেখা যায়। এদের সামনের পা দুখানা পেছনের পায়ের সঙ্গে পাতলা চামড়া দিয়ে কতকটা ডানার মতো করে জোড়া। তারই সাহায্যে বাতাসে ভর করে এগাছ থেকে ওগাছে উড়ে যাওয়ার মতো অনেকটা লাফিয়ে বেড়ায়। শুনে অবাক হতে হয়, এই উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী কিন্তু নিশাচর প্রাণী! কিছু কিছু উড়ক্কু কাঠবিড়ালী ১০-২০ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত বাঁচে!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper