ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি ২৫ হাজার পরিবার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
🕐 ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৯

তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২৫ হাজার পরিবার এই পানির কবলে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বন্যা। এছাড়া জেলার আদিতমারী মহিষখোচা ও হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারীর ধুবনী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে গেছে।

তিস্তা এমন ভয়ংকর রূপ ধারণ করায় চরাঞ্চলে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টায় দোয়ানি পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির পরিমাণ ৫২.৮৫ সেন্টিমিটার।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে হাতীবান্ধার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এ সময় তিনি পানিবন্দি লোকজনের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। ভেঙে যাওয়া রাস্তা মেরামতের জন্য ৫ হাজার বালুর বস্তা বরাদ্দ দেন। এছাড়া জেলায় ৬৮ টন চাল ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এলাকাবাসী জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত ৫ দিনের ভারি বৃষ্টি। এতে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার তিস্তা ও ধরলা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। জেলার ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে নৌকা বা ভেলা। ধেয়ে আসা পানির স্রোতে গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পড়েছেন চরাঞ্চলের খামারি ও চাষিরা।

গত দুই দিন ধরে উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট এ বন্যায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখনো সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ পায়নি বলেও জানান স্থানীয়রা।

 
Electronic Paper