ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বনেদি দ্বৈরথের অপেক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১২:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯

একজন জন্মদাতা, আরেকজন সর্বকালেই শক্তিশালী। ক্রিকেটের এই দুই মহারথী হলো ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। তারা মুখোমুখি হলে সেখানে থাকে আলাদা উত্তেজনা, আলাদা তাৎপর্য। কারণ তাদের দ্বৈরথ যে গত দুইশ বছরের! আজ আরও একবার এই বনেদি দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটবিশ্ব।

চলতি বিশ্বকাপে অজিদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল ইংল্যান্ড। এবার সেমিফাইনালে আবারও মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ম্যাচের আগেই অজিদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি বার্তা দিলেন জো রুট। বলা বাহুল্য, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাফল্যের জন্য ইংল্যান্ড অনেকটাই নির্ভর করে আছে তাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান জো রুটের ওপর। সেমিফাইনাল নিয়ে রুট যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আর তাই তো ১৯৯২ সালের পরে প্রথম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা ইংলিশরা হাসতে পারেন শেষ হাসিও।

রুটের মতে, ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতাটা তাদের দারুণ কাজে আসবে। ইংল্যান্ডের এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুট বলেন, ‘অনেক দিন পরে আমরা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের সেমিফাইনালে খেলব। নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় ব্যাপার। এই দলের অনেকেই ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল। সেই ফাইনালের অভিজ্ঞতাটাও আমাদের এজবাস্টনে দারুণ কাজে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’

টি-২০ বিশ্বকাপে ২০১৬ সালের সেই ফাইনালের ১০ জন ক্রিকেটার আছেন এবারের ইংলিশ দলে। যদিও সেবার ফাইনালে ক্যারিবিয়ানদের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। তবুও সে ম্যাচের অভিজ্ঞতাটা অনেক কাজে আসবে অজিদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। এমনটাই ধারণা ইংলিশ ক্রিকেটারদের।

এমনিতে ইংল্যান্ড ২০১০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপাধারী। এ ছাড়াও ২০০৪ এবং ২০১৩ সালের দুবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালেও উঠেছিল ক্রিকেটের জনকরা। কিন্তু শেষ ২৭ বছরে বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। অতীতে দুবার তারা সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছিল। আর এই দুই দেশ এগারোবারের মধ্যে সাত বার এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন।

জো রুট মনে করেন, গ্রুপ পর্বে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা। রুট বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপটা আমরা দারুণ শুরু করেছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে দলের মনোবল বেশ কমে গিয়েছিল। এটা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। সেখান থেকে আমরা দারুণভাবে নিজেদের ফিরে পেয়েছি। ভারত আর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই আমরা সেমিফাইনালে উঠে এসেছি। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও যে আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত তা নিয়ে নেই কোনো সন্দেহ। আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলার লক্ষ্যে নিয়েই মাঠে নামব।’

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। সে ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আগেই বিশ্বকাপে থেকে ছিটকে পড়ায় এ ম্যাচটি এক প্রকার নিয়মরক্ষার ম্যাচই ছিল প্রোটিয়াদের জন্য। আর এই ম্যাচ জয়ের পর প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির সোজা কথা। বিশ্বকাপটা অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের হাতেই উঠবে।

ডু প্লেসির এমন কথার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুটও। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ফাফ ভুল কিছু বলেনি। পরিসংখ্যানই বলে দেয়, অস্ট্রেলিয়া বারবার সফল হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, আমাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। নকআউটে খেলার জন্য একটা দলে যে ধরনের গভীরতা দরকার তা কিন্তু গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। বিশেষ করে, শেষ দুটি ম্যাচে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর মাত্র দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই বিশ্বকাপটা আমরাই জয় করব। গ্রুপ পর্বে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আমরা কিন্তু ভারত আর নিউজিল্যান্ডকে ভালোভাবেই হারিয়েছি।’

 
Electronic Paper