ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পদ্মা সেতু ইস্যু গুজব ছড়ানোয় ইউপি সদস্যকে নোটিশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
🕐 ১২:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯

‘পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে মানুষের কাটা মাথা লাগবে’ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার (১০ জুলাই) রাতে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনকে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। আলমগীর হোসেন উপজেলার ১১নং ফতেপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

এদিকে গুজব ছড়ানোদের ধরতে এবার মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। গুজব রটনাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫ ও ৭টা ৫১ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা লাগবে’ ও ‘গুজব নয় সত্যি, রক্ত চায় পদ্মা সেতু! ঘর ছাড়া শতাধিক পরিবার’ শিরোনামে দুটি ছবি পোস্ট করে গুজব ছড়িয়েছেন ইউপি সদস্য আলমগীর।

এ ধরনের পোস্ট করায় তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? পত্রপ্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, গুজব ছড়ানো এ পোস্টটির উৎপত্তি ও যারা ছড়িয়ে এটি নিয়ে ইস্যু তৈরি করেছে, তাদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে। গত সোমবার রাত থেকেই গুজব রটনাকারীদের শনাক্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম। ইতোমধ্যে ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করে ভাইরাল করেছেন এমন ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে তাদের সন্ধান চেয়ে পোস্টও দেওয়া হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কোনো ইউনিট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। তাদের প্রোফাইল, টাইমলাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। পোস্ট শেয়ারকারীদের মধ্যে কয়েকজন তরুণীও রয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলেও তাদের নিয়ে ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোও যাচাই-বাছাই চলছে।

এদিকে গুজবের বিষয়ে গত মঙ্গলবার তথ্য অধিদফতরের দেওয়া একটি চিঠিতে পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ পরিচালনায় মানুষের মাথা লাগবে বলে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এটি একটি গুজব। এর কোনো সত্যতা নেই। এমন অপপ্রচার আইনত দ-নীয় অপরাধ। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চায়না মেজর ব্রিজ নামক একটি কোম্পানি। কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর। প্রাথমিকভাবে এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি নকশা পরিবর্তন, অবকাঠামো উন্নয়ন, ভূমির পরিমাণ ও পরামর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আরও আট হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।

 

 
Electronic Paper