আজ রিজার্ভ ডে’তে হবে ম্যাচের বাকি অংশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৯
চলতি বিশ্বকাপের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাতিল হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। তাতে আক্ষেপ আর হতাশায় ভারী হয়ে উঠেছিল অনেক দলের ড্রেসিংরুম। তারা মনে করেন বৃষ্টি বাঁধায় না পড়লে সেমিফাইনাল খেলতে পারতেন! এমন আক্ষেপ হয়তো পৌঁছে গিয়েছিল বৃষ্টির কানেও। তাই অন্তত শেষ ২৫-২৬ ম্যাচে আকাশ ছিল উজ্জ্বল! কিন্তু কী মনে করে দীর্ঘ বিরতির পর ম্যানচেস্টারের মাঠে গতকাল আবার ঝুম বৃষ্টি। ফলাফল আজকের রিজার্ভ ডেতে গড়িয়েছে ম্যাচের বাকি অংশ।
কেন উইলিয়ামসনের লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছিল বেশ আগেই। তখন লড়াই করছিলেন রস টেইলর। ভারতের দুর্দান্ত বোলিং সামলে চেষ্টা করছিলেন দলের রান যতটা সম্ভব বাড়াতে। কিন্তু গতকাল আর দেখা হলো না পরিণতি। বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত থমকে যায় ম্যাচ। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ৪৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২১১ রান তোলার পর নামে বৃষ্টি। এরপর আর খেলা শুরু হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী আজ রিজার্ভ ডেতে খেলা শুরু হবে ৪৬.২ বল থেকে।
বৃষ্টির শঙ্কা নিয়েই শুরু হয়েছিল দিন। টসের সময়ও আকাশ ছিল মেঘলা। উইকেট নতুন। পরের দিকে বৃষ্টির শঙ্কা নিয়েও টস জিতে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে সেই চ্যালেঞ্জ জয় করার মতো ব্যাটিং তারা করতে পারেননি। বরং শুরু থেকেই ভুগেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর কুমারের আগুনে বোলিংয়ে।
নিউজিল্যান্ডের ভোগান্তির শুরু ম্যাচের প্রথম বল থেকেই। ভুবনেশ্বরের বলে জোরালো আবেদনে বেঁচে যান মার্টিন গাপটিল। ভারত হারায় রিভিউ। তবে ভারতীয় বোলাররা হারাননি ছন্দ। বুমরাহ ও ভুবেনেশ্বরের দুর্দান্ত প্রথম স্পেলে হাঁসফাঁস করতে থাকেন কিউই ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম ৩ ওভারে রান ছিল ১। চতুর্থ ওভারে বুমরাহর বলে বিরাট কোহলির দারুণ ক্যাচে ফেরেন গাপটিল। প্রথম ম্যাচের পর থেকে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা অভিজ্ঞ ওপেনার এই ম্যাচেও করেছেন ১৪ বলে ১ রান। ৭ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ১০। বুমরাহর বলে হেনরি নিকোলসের ড্রাইভে অষ্টম ওভারে আসে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি। নতুন বলের দুই বোলারের স্পেল শেষে একটু স্বস্তি পান কিউইরা। নিকোলস ও উইলিয়ামসন আস্তে আস্তে রান বাড়াতে থাকেন। গড়ে ওঠে জুটি। ৮৯ বলে দুজনের ৬৮ রানের জুটি ভাঙে রবিন্দ্র জাদেজার দারুণ ডেলিভারিতে। ২৮ রান করে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হন নিকোলস। টেইলরের সঙ্গে মিলে এরপর উইলিয়ামসন গড়েছেন আরেকটি জুটি। তবে ভারতের আঁটসাঁট বোলিং ও উইকেটের মন্থরতা মিলিয়ে গতি খুব বাড়াতে পারছিলেন না তারা। ১৪তম ওভারের পর টানা ১৩ ওভারে আসেনি কোনো বাউন্ডারি।
১০২ বলে ৬৫ রানের জুটি শেষ হয় উইলিয়ামসনের বিদায়ে। ৯৫ বলে ৬৭ করে কিউই অধিনায়ক ক্যাচ দেন যুজবেন্দ্র চাহালের থমকে আসা একটি বলে। এরপর লড়াই চালিয়ে গেছেন টেইলর। জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমরা পারেননি লম্বা সময় সঙ্গ দিতে। ইনিংসের একমাত্র ছক্কায় চাহালকে গ্যালারিতে পাঠিয়ে টেইলর ফিফটি স্পর্শ করেন ৭৩ বলে।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের সময় টেইলরের রান ছিল ৮৫ বলে ৬৭। রানটা আরও বাড়াতে কিউইদের ভরসা তিনিই। ভারতও জানে, টেইলরকে দ্রুত ফেরাতে পারলে নিউজিল্যান্ড থমকে যাবে অল্পতেই। ম্যাচে তাই লড়াইয়ের রসদ আছে এখনও। দেখা যাক আজ কী হয়!