ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জামিনে মুক্ত রানা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
🕐 ২:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৯, ২০১৯

আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ ও যুবলীগের দুই নেতার হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা প্রায় চার বছর কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আমানুর রহমান খান রানা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার জন্য সরাসরি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

এর আগে সোমবার যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ফলে তার মুক্তিতে বাধা কাটে।

এদিকে তার মুক্তির সময় টাঙ্গাইল কারাগার গেটে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ ও কারারক্ষীরা কারাগারের আশপাশে কাউকে ভিড় করতে দেয়নি। তবে সকাল থেকেই রানার কর্মী ও সমর্থকরা কারাগার গেটে ভিড় জমায়।

মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাবেক এমপি রানা। সে সময় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বেশ কয়েক দফায় উচ্চ আদালত ও নিন্ম-আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

অবশেষে গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় রানাকে হাইকোর্টের দেয়া স্থায়ী জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন।

পরে তদন্ত করে পুলিশ একই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

 
Electronic Paper