মজুরি বৈষম্যের শিকার চলনবিলের নারীরা
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৮, ২০১৯
আদিকালে যে নারীরা কৃষি কাজের সূচনা করেছিল সেই নারীরা আজও সম্পৃক্ত আছে কৃষি কাজের সঙ্গে। কেবল কৃষি কাজই নয়, দিনের পর দিন বেড়েছে নারী শ্রমিকদের কর্মপরিধি কিন্তু বাড়েনি তাদের পারিশ্রমিক।
নানান অবহেলায়, পরনির্ভরশীল হয়ে বেঁচে না থেকে স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদেই নারীরা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। চলনবিল এলাকার নারীরা কৃষি কাজের পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তা-ঘাট নির্মাণ), ধানের চাতাল, হোটেল রেস্তোরাঁ, ইটেরভাটা এমনকি নির্মাণ শ্রমিকের কাজও করছেন।
এমন অনেক নারী আছেন যারা বিধবা অথবা স্বামী পরিত্যক্তা; তারা খেয়ে পরে বাঁচতেই বাধ্য হয়ে যুক্ত হচ্ছেন শ্রম বিক্রির সঙ্গে। কিন্তু এ শ্রম বিক্রি করতে গিয়ে তারা অবহেলার শিকার হচ্ছেন নানা রকমের। সেই সঙ্গে উপযুক্ত পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারীরা।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহেষরৌহালী গ্রামের নারী শ্রমিক রাহেলা খাতুন ও মাজেদা খাতুন জানান, সংসারে বাড়তি সচ্ছলতার আশায় বাড়ির রান্না-বান্না শেষ করে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করেন চাতালে। প্রতিদিনের পারিশ্রমিক হিসেবে পান মাত্র ১৫০ টাকা। একজন পুরুষ শ্রমিকের পারিশ্রমিকের তিন ভাগের এক ভাগ দেওয়া হয় তাদের।
তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের জাবেদা খাতুন কাজ করছেন কর্মসৃজন প্রকল্পে সেখানে তার দৈনন্দিক মজুরি ২০০ টাকা। যা দিয়ে কোনোমতে তার সংসার চলে। তিনি জানান, একজন পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা একই কাজ করেন। তারপরও মজুরি বৈষম্যের শিকার।